চট্টগ্রাম: কোরবানির অর্থ কেবল পশু জবাই করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নিজ পশুত্বের কোরবানিও হতে পারে।
আমরা যদি মনের পশুকে কোরবানি করতে পারি, তাহলেই আল্লাহতাআলার প্রিয়জনদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদ-উল আজহার প্রধান ঈদ জামাত এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ জামাতের আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর কোরবানির অনুসরণে মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর ১০ জিলহজ তারিখে পশু কোরবানি করে থাকে। ইসলামে এই যে কোরবানির শিক্ষা, তা কি কেবল একটি পশু কোরবানির মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হয়ে যায়? আসলে পশু কোরবানি করা একটা প্রতীকী মাত্র। গরীব-অসহায়দের সঙ্গে নিয়ে যে আনন্দ উদযাপন করা হয়, তা-ই মূলত আল্লাহপাকের কাছে গ্রহণীয় হয়ে থাকে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আল্লাহ মানুষের হৃদয় দেখেন। এই কোরবানির মাধ্যমে আমি কতটা নিজেকে পরিবর্তন করেছি, এটা হলো মূল বিষয়। আমরা যদি নিজেদের পশুসুলভ হৃদয়কে কোরবানি দিয়ে একে অপরের জন্য হয়ে যাই, তাহলে কতই না উত্তম হতো।
প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম, এহসান মুরাদ, জামশেদ আলম রানা, মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মোহাম্মদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
বিই/টিসি
Source link