১২ বছরে প্রথম বিয়ে, ‘স্বামী’কে না জানিয়ে ১৬ বছরে আবার বিয়ে, নাবালিকার দিদিমার বিরুদ্ধে নালিশ
১২ বছরে প্রথম বিয়ে, ‘স্বামী’কে না জানিয়ে ১৬ বছরে আবার বিয়ে, নাবালিকার দিদিমার বিরুদ্ধে নালিশ

দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: বুঝতেই পারল না নাবালিকা। মাত্র ১৬ বছরেই দু-দু’বার বিয়ে হয়ে গেল তার। প্রথম বিয়ে ১২ বছর বয়সে। ১৬ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার। সব জেনেও নিশ্চুপ প্রশাসন, অভিযোগ এমনটাই।

কোনও প্রান্তিক গ্রাম নয়। পূর্ণ স্বাক্ষর জেলা পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে এমন অভিযোগ ওঠার পরেই শোরগোল পড়েছে। জানা যায়, বাবা-মা দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন। দিদিমাই ওই নাবালিকার অভিভাবক। অভিযোগ বছর চারেক আগে ১২ বছরের নাবালিকা নাতনির সঙ্গে তিনি বিয়ে দিয়েছিলেন হুগলির গুড়াপের চালকলের শ্রমিক প্রসেনজিৎ ঘোষের। বছর একত্রিশের যুবক প্রসেনজিৎ জানান, মন্তেশ্বরের দেনুড় গ্রামের বাড়ি তাঁর স্ত্রীর। তার বাবা মা দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পাতুন গ্রামে মামাবাড়িতে দিদিমার কাছে থাকত তাঁর স্ত্রী। সেখান থেকেই তাঁর বিয়ে হয়।

প্রসেনজিৎ বলেন, “মাসখানেক আগে আমার মায়ের সঙ্গে আমার স্ত্রীর অশান্তি হয়। আমি তখন কর্মস্থলে ছিলাম। অশান্তির পর আমার স্ত্রীর দিদিমা আমাদের বাড়িতে এসে ওকে নিয়ে পাতুন গ্রামে চলে যায়। এরপর আমি বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে আনতে পাতুন গ্রামে যাই। সেখানে আমার স্ত্রীর খোঁজ মেলেনি। ওর দিদিমা আমাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। তারপর প্রতিবেশীদের কাছে খবর পাই কাটোয়ার এক আত্মীয়বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমার স্ত্রীর ফের বিয়ে দিয়ে দিয়েছে ওর দিদিমা।” ভাতার থানায় ভৈরবপুর গ্রামে এখন রয়েছে ওই নাবালিকা। ওই যুবক জানান, স্ত্রীকে ফেরাতে ভৈরবপুর গ্রামেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই পরিবারের লোকজন তাকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

এরপরেই স্ত্রীকে সেখান থেকে উদ্ধার করার জন্য ভাতারের বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু নাবালিকাকে বিয়ে করাই যেখানে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ সেখানে ১২ বছরের মেয়েকে কেন তিনি বিয়ে করেছিলেন, উঠছে সেই প্রশ্ন। প্রসেনজিৎ বলেন, “আমি যদি অপরাধ করি তাহলে আমার সাজা হোক। অসুবিধা নেই। কিন্তু এখনও আমার স্ত্রী নাবালিকা। ওকে এখন যে বিয়ে করেছে আর যারা বিয়ে দিয়েছে তাদেরও সাজা হওয়া প্রয়োজন।”

পূর্ব বর্ধমান জেলার শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “নাবালিকার জোর করে বিয়ে দেওয়া বা বিয়ে করা গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” ভাতারের বিডিও অরুণকুমার বিশ্বাস বলেন, “গোটা ঘটনা তো জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে। ওরাই দেখছে।”

চুনীর প্রথম ক্রিকেট অধিনায়ক ছিলেন, ভাল ফুটবলও খেলতেন লেখক বুদ্ধদেব

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন >>


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *