ইউক্রইনকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন দেওয়ার প্রস্তাব জি-৭ নেতাদের
ইউক্রইনকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন দেওয়ার প্রস্তাব জি-৭ নেতাদের

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির সাত দেশের সংগঠন জি-৭ এর নেতারা শনিবার ইউক্রেইনকে দীর্ঘ এবং টেকসই সমর্থন জানানোর দৃঢ় ‍বার্তা দিয়েছেন।

নিজ দেশের প্রতি সমর্থন এবং সহযোগিতা বাড়াতে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবার ‍অতিথি হিসেবে জি৭ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

জাপানের ঐতিহাসিক নগরী হিরোশিমায় এবছর জি৭ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেখানে সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে জেলেনস্কি বৈঠক করেন।

বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেইনের পূর্বের নগরী বাখমুত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

বলেন, ‘‘এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই জায়গায় আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। যেখানে যা পড়ে আছে তা হলো অনেক রুশে সেনার মৃতদেহ।”

গত কয়েকমাস ধরে রুশ বাহিনী ও তাদের ভাড়াটে সেনারা বাখমুতের দখল নিতে মরিয়া হয়ে যুদ্ধ করছে। ইউক্রেইনের মূল যুদ্ধক্ষেত্রে এখন বাখমুত।

রাশিয়ার ভাড়েটে সেনাদের দল ওয়াগনার শনিবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে তারা বাখমুতের পূর্ণ দখল পাওয়ার দাবি করেছে।

বাখমুত আসলেই রাশিয়ার দখলে চলে গেছে, না নাকি এখনো কিইভের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সে বিষয়ে জেলেনস্কির বক্তব্যে স্পষ্ট কিছু বোঝা যাচ্ছে না।

পরে জেলনস্কির একজন মুখপাত্র বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন, তার বক্তব্যের ‍অর্থ বাখমুতের পতন হয়নি।

যদিও ক্রেমলিন থেকেও এক বিবৃতিতে বাখমুত জয়ে নিজেদের সেনাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিন দিনের জি৭ সম্মেলনের শেষ দিন রোববার বাইডেন ইউক্রেইনের জন্য সাড়ে ৩৭ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যার মধ্যে কামান এবং সাঁজোয়া যানও রয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির সাত দেশের সংগঠন জি৭ এর নেতারা শনিবার ইউক্রেইনকে দীর্ঘ এবং টেকসই সমর্থন জানানোর দৃঢ় ‍বার্তা দিয়েছেন।

নিজ দেশের প্রতি সমর্থন এবং সহযোগিতা বাড়াতে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবার ‍অতিথি হিসেবে জি৭ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

জাপানের ঐতিহাসিক নগরী হিরোশিমায় এবছর জি৭ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেখানে সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে জেলেনস্কি বৈঠক করেন।

বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেইনের পূর্বের নগরী বাখমুত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

বলেন, ‘‘এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এই জায়গায় আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। যেখানে যা পড়ে আছে তা হলো অনেক রুশে সেনার মৃতদেহ।”

গত কয়েকমাস ধরে রুশ বাহিনী ও তাদের ভাড়াটে সেনারা বাখমুতের দখল নিতে মরিয়া হয়ে যুদ্ধ করছে। ইউক্রেইনের মূল যুদ্ধক্ষেত্রে এখন বাখমুত।

রাশিয়ার ভাড়েটে সেনাদের দল ওয়াগনার শনিবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে তারা বাখমুতের পূর্ণ দখল পাওয়ার দাবি করেছে।

বাখমুত আসলেই রাশিয়ার দখলে চলে গেছে, না নাকি এখনো কিইভের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সে বিষয়ে জেলেনস্কির বক্তব্যে স্পষ্ট কিছু বোঝা যাচ্ছে না।

পরে জেলনস্কির একজন মুখপাত্র বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন, তার বক্তব্যের ‍অর্থ বাখমুতের পতন হয়নি।

যদিও ক্রেমলিন থেকেও এক বিবৃতিতে বাখমুত জয়ে নিজেদের সেনাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিন দিনের জি৭ সম্মেলনের শেষ দিন রোববার বাইডেন ইউক্রেইনের জন্য সাড়ে ৩৭ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যার মধ্যে কামান এবং সাঁজোয়া যানও রয়েছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুড প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেইনের যতদিন প্রয়োজন কানাডা ততদিন দেশটিকে সমর্থন দিয়ে যাবে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, এই গ্রীষ্মেই ইউক্রেইনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ ‍শুরু হবে। এবং যদি ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়ে তবে ইউক্রেইন বিমান ‍বাহিনীর সহায়তা পাবে।

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ উভয়ই এদিন কোনো ধরণের ‘শান্তি আলোচনা ছাড়া ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধ করা’ (ফ্রোজেন কনফ্লিক্ট) বা রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার না করা ছাড়া কোনো ধরণের শান্তি আলোচনার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন।

১৫ মাস আগে ইউক্রেইনে আগ্রাসণ শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ পরিস্থিতি এখন যেখানে দাঁড়িয়ে তাতে অনেক বিশ্লেষক এবং কূটনীতিক ধারণা করছেন, এই যুদ্ধও কোরীয় উপদ্বীপের মত ‘ফ্রোজেন কনফ্লিক্টে’ পরিণত হতে যাচ্ছে।

১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলে এবং টেকনিক্যালি সেই যুদ্ধ এখনো চলছে। কারণ, সেই যুদ্ধ অবসানে কোনো শান্তি চুক্তি হয়নি বরং যুদ্ধবিরতি চলছে।

ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘‘শান্তি আনার নামে ইউক্রেইন যুদ্ধকে ফ্রোজেন কনফ্লিক্টে পরিণত করা উচিত হবে না। কারণ, তাতে ভবিষ্যতে আবারও যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। এই সংকটের একটি সমাধান প্রয়োজন।”

হিরোশিমায় জেলনস্কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভাবে নিজের পক্ষে বোঝানোর সুযোগ পাবেন। এই দুই নেতা এখনো ইউক্রেইনকে কোনো ধরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত আছেন।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *