হজরত ইবরাহিম (আ.)–এর কোরবানির ব্যাপারে কোরআনে আছে:
তারপর যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মতো বয়স হলো তখন ইব্রাহিম তাকে বলল, ‘বাছা! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে আমি জবাই করছি, এখন তোমার কী বলার আছে?’ সে বলল, ‘পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা-ই করুন। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে, আপনি দেখবেন, আমি ধৈর্য ধরতে পারি। তারা দুজনেই যখন আনুগত্য প্রকাশ করল ও ইব্রাহিম তার পুত্রকে (জবাই করার জন্য) কাত করে শুইয়ে দিল, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, ‘হে ইব্রাহিম! তুমি তো স্বপ্নের আদেশ সত্যই পালন করলে। এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এ ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা।’ আমি (তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে) জবাই করার জন্য দিলাম এক মহান জন্তু এবং তাকে রেখে দিলাম পরবর্তীদের মাঝে (স্মরণীয় করে)’। (সুরা সাফফাত: আয়াত: ১০২-১০৮)
কোরআনে আছে, ‘আর আল্লাহর উদ্দেশে হজ ও ওমরাহ পূর্ণ করো, কিন্তু যদি তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হও, তবে সহজলভ্য কোরবানি করো। আর যে-পর্যন্ত কোরবানির (পশু) তার গন্তব্যস্থানে উপস্থিত না হয় তোমরা মাথা মুড়িয়ো না। তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পীড়িত হয় বা মাথায় যন্ত্রণা বোধ করে, তবে সে তার পরিবর্তে রোজা রাখবে বা সাদকা দেবে বা কোরবানি দিয়ে তার ফিয়া (খেসারত) দেবে। তারপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে-ব্যক্তি হজের আগে ওমরাহ ক’রে লাভবান হতে চায়, সে সহজলভ্য কোরবানি করবে। কিন্তু যদি কেউ কোরবানির কিছুই না পায়, তবে তাকে হজের সময় তিন দিন ও ঘরে ফেরার পর সাত দিন এই পুরো দশ দিন রোজা করতে হবে । এই নিয়ম তার জন্য, যার পরিবার-পরিজন পবিত্র কা’বার কাছে বাস করে না। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো ও জেনে রাখো আল্লাহ্ মন্দ কাজের প্রতিফল দিতে কঠোর।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৬)
Source link