পশুর হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সব সংস্থার পাশাপাশি কঠোর নজরদারি বাড়িয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। হাটকেন্দ্রিক দালাল, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, প্রতারকচক্র ও জাল টাকার কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর গবাদিপশু বিক্রি এবং পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে র্যাব। এছাড়া অনলাইনে কুরবানির পশু কেনাবেচায় কেউ প্রতারণা করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার সকাল থেকে গাবতলী পশুর হাটে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। দুপুরে হাট পরিদর্শন করে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সাংবাদিকদের বলেন, কোরবানির হাটগুলোতে হাসিল ঘর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ এসেছে। অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। হাটগুলোতে কাজ করছে আমাদের মোবাইল টিম। যারা অতিরিক্ত হাসিল আদায় করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খন্দকার আল মঈন জানান, অন্য বছরের মতো এবারও কুরবানির হাটকেন্দ্রিক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব। ইজারাদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, হাটগুলোতে প্রচুর কুরবানির পশু বেচাকেনা কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিকদ্রব্য খাইয়ে গরু মোটাতাজা করে অথবা অস্বাস্থ্যকর গবাদিপশু বিক্রি করেন। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে র্যাব এসবের বিরুদ্ধে একটি টিম গঠন করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। এই টিম বিভিন্ন হাট পর্যবেক্ষণ করছে।
Source link