বৃষ্টিপাতে সিলেটে নদনদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কোনো নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা ও জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বন্যার শঙ্কায় পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। গত তিন দিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন, ধলাই, জাদুকাটাসহ ছোট-বড় সব নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। সুরমার পানি সীমান্তবর্তী কানাইঘাট পয়েন্টে অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে সিলেট পয়েন্টে। ঈদের দিনের (বৃহস্পতিবার) চেয়ে আজ শুক্রবার (৩০ জুন) সকাল ৯টার দিকে এ পয়েন্টের পানি ০.৩৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীরে তিন পয়েন্টেই (শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর) বেড়েছে কিছুটা পানি।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কে›ন্দ্রের তথ্য মতে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল নদনদীসমূদের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহ্ওায়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী আগামাী ৭২ঘন্টায় দেশের উত্তর -পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় এ অঞ্চলের কতিপয় নদীসমূহের (সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাাটা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরি) পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নি¤œাঞ্চলে সৃষ্টি করতে পারে স্বপ্লমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় সিলেটসহ সারা দেশে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টি ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিনে অব্যাহত থাকবে। এ দিন সিলেটের বিভিন্ন স্থানে হবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি।
Source link