চট্টগ্রামে ঈদের ছুটির শেষ দিনে এসে বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ভিড় বেড়েছে। ঈদের পরদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর ভ্যাপসা গরমে ঘরবন্দি ঈদ কেটেছে নগরবাসীর। ঈদের তৃতীয় দিন শনিবার চট্টগ্রামের বেশির ভাগ বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে।
শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী লোকজনের আনাগোনায় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দুইদিন পর দর্শনার্থী আসলেও তা আশানুরূপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন শনিবার থেকে আয়োজন করেছে ফুল ডে ট্যুর সার্ভিস।
নগরীর ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও শহরের বাইরের এলাকা থেকে বিনোদনপ্রেমিরা ছুটে এসেছেন। লেকের শেষ প্রান্তে আছে পানির রাজ্যে বিচরণের রোমাঞ্চকর স্থান ‘সি ওয়ার্ল্ড’ বিকেলে হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। এছাড়া সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, জায়ান্ট ফেরিস হুইল, ড্রাই স্লাইড, ফ্যামিলি ট্রেন, প্যাডেল বোট, ফ্লোটিং ওয়াটার প্লে, পাইরেট শিপের মতো মজাদার সব রাইড উপভোগ করছেন শিশুরা। এবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের ‘সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়’ ঘটাতে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে আগেভাগেই।
ফয়’স লেক’র উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, সকাল ১০টায় আমরা গেইট খুলে দিয়েছি। এর আগেই অনেক দর্শনার্থী গেটের সামনে এসে ভিড় করেন। তবে সকালে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থী আবার কমে যায়। দুপুরের পর থেকে একেবারে স্রোতের মতো লোকজন আসছেন। রিসোর্টেও চট্টগ্রামের বাইরে থেকে অনেকে এসেছেন। বিশেষ করে প্রবাসীদের সংখ্যা বেশি। পুলিশ ও নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ফয়’স লেক ছাড়াও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় শুক্রবার ও শনিবার মানুষের ঢল নেমেছে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারের মতো দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছেন। বৃষ্টিপাত না থাকলে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ১০-১২ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে তাদের ধারণা সংশ্লিষ্টদের। চিড়িয়াখানায় বর্তমানে প্রায় ৭৩ প্রজাতির ছয় শতাধিক পশু-পাখি আছে। সাদা, বাঘ, সিংহ, ক্যাঙারু, ওয়াইল্ড বিস্ট- বৈচিত্র্যময় প্রাণীর সম্ভার এবার চিড়িয়াখানায়।
নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল, আউটার রিং রোডসহ আশপাশের স্পটগুলোতেও দুপুরের পর থেকে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে চড়ে লোকজন জড়ো হতে থাকেন সৈকতে। পানিতে দাপাদাপি, সৈকতে বসে গলা ছেড়ে গান গাওয়া, গরম পিঁয়াজু-কাঁকড়া ভাজি, ডাব, আনন্দের কমতি নেই। মেরিন ড্রাইভ সড়কে জেলা প্রশাসনের ফ্লাওয়ার পার্ক, নগরীর পতেঙ্গায় বাটারফ্লাই পার্ক, কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট, কাজির দেউড়ি শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদে কর্ণফুলী শিশু পার্ক, হালিশহর ও সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সাগরতীর, মীরসরাইয়ে মহামায়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্র সৈকতে ঈদের দিন থেকে শুরু করে শনিবার লোকজনের ভিড় লেগেছিল।
বিডি প্রতিদিন/এএম
Source link