দবিরুলের জনপ্রিয়তায় কোণঠাসা অন্য প্রার্থীরা – GalachipaProtidin.Com
দবিরুলের জনপ্রিয়তায় কোণঠাসা অন্য প্রার্থীরা – GalachipaProtidin.Com

প্রাচীন সভ্যতার কোনো নিদর্শন যদি খুঁজে পেতে চাই তাহলে তার সন্ধান করতে হবে প্রাচীন জনপদ দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই জনপদটিতে ছড়িয়ে আছে প্রাচীন সভ্যতার বহু মূল্যবান সম্পদ। হিন্দু, বৌদ্ধ মুসলিম সভ্যতার অসংখ্য প্রাচীন নিদর্শনে পরিপূর্ণ ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন অঞ্চল। এখানে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে অজস্র প্রত্মসম্পদ। কিন্তু পরিকল্পিত সংরক্ষণ, অধ্যয়ন গবেষণা কাজের অভাবে বাংলার প্রাচীনতম জনপদ পুন্ড্রবরেন্দ্রর কেন্দ্রস্থল ঠাকুরগাঁওয়ের ইতিহাস আজ অনাবিষ্কৃত আছে। আর্য আগমনের বহু আগে থেকেই এই ঠাকুরগাঁও অঞ্চলসহ সমগ্র বৃহত্তর দিনাজপুর জেলায় ছিল সভ্য মানুষের বসবাস।

১৯৮৪ সালে বৃহত্তর দিনাজপুর জেলাকে ভেঙে তিনটি জেলা করা হয়। এর মধ্যে পঞ্চগড় দিনাজপুরের মাঝখানে ঠাকুরগাঁও জেলা। জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ। হালনাগাদ ভোটার অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও আসনে ভোটারের সংখ্যা মোট লাখ ৫৪ হাজার ৭১৮ জন। বরাবরই আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে পরিচিত। এই আসন থেকে বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন। তবে আসনটি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরও আসন। ফলে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় আসনটির ভোটাররা।

ইতোমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচনের খুব বেশি দিন বাকি না থাকায় নির্বাচনকে ঘিরে এখানে মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনাকল্পনা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতারা নিজ নিজ জোটের মনোনয়ন লাভের আশায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিজ নিজ সংসদীয় আসনে গণসংযোগ শুরু করেছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের শুভেচ্ছা জানানো পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের অলিতেগলিতে।

ঠাকুরগাঁও জেলার ৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ঠাকুরগাঁও আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন। ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও আসনে নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গন ধীরে ধীরে সরগরম হয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব প্রায় চলে এসেছে। বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ পাওয়ার পর সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এমপির দিকে দৃষ্টি আওয়ামী লীগের একাংশের।

অপরদিকে, বিএনপিতে একক প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে না নিলে নির্বাচনে অংশ নেবে না বললেও বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্তমানে একত্রিত হয়ে আন্দোলন শক্তিশালী দল গুছানোর জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে আওয়ামী লীগে সৃষ্ট দলীয় কোন্দল বারবার নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের সুযোগ নিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি।

আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনেও নিজ নির্বাচনী আসনে বেকায়দায় থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৩ ভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারকে কাছে টানতে না পারলে ফের আসনটি হারাতে পারেন বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী। তবে এক লাখ ৪০ হাজার বিশাল হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের কাছে টানতে নানা কৌশল গ্রহণ করেছেন তিনি। উদ্দেশ্য সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে টানা।

১৯৯১ সালে ঠাকুরগাঁও সদর আসনটিতে প্রথম নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খাদেমুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের একই প্রার্থীর কাছে হারার পর ২০০১ সালে বর্তমান এমপি রমেশ চন্দ্র সেনকে হারান তিনি। ২০০৮ সালে রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে ফের হারেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দীর্ঘদিন সরকার ক্ষমতায় থাকায় বর্তমান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ঠাকুরগাঁও আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন নানা কারণে বেশ কিছুদিন তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিভক্ত থাকলেও এখন কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছেন। তবে আগামী নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রার্থী পরিবর্তনের প্রস্তাব রয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা নতুন কোনো যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নতুন সম্ভাব্য প্রার্থীদের ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত কর্মিসভা গণসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। নিয়মিত গণসংযোগ, দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও নেতাকর্মীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন তারা। আর আওয়ামী লীগের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাংককে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেনজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহম্মদ সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দিপক কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক রুবেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট অরুণাংশু দত্ত টিটো।

এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইন্দ্র নাথ রায়, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার চেয়ারম্যান, জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি প্রাক্তন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার মোল্লা এবং সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জননেতা মরহুম খাদেমুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে সাহেদুল ইসলাম সাহেদের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে সর্বোচ্চ নির্দেশনা হবে বলে জানান তারা।

বর্তমান সংসদ সদস্যের রমেশ চন্দ্র সেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপিত হলেও তিনি এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাস্তাঘাট, স্কুলকলেজের নতুন নতুন ভবন নির্মাণ, ঠাকুরগাঁও হাসপাতালকে ১শশয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করাসহ বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে যে উন্নয়ন তিনি করেছেন এর পূর্বে কেউ এত উন্নয়ন করতে পারেননি। হিসেবে তিনি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে জয়লাভের আশা করছেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যাদের কাজ করার ইচ্ছা তারাই এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। মনোনয়নপত্র অনেকেই জমা দিতে পারেন। এতে কিছু আসে যায় না। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা জানান, রমেশ চন্দ্র সেন এলাকায় অন্যান্য জেলার মতো উন্নয়ন করেছেন সত্যি। তবে নির্বাচনী এলাকার অনেক কর্মীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো নয় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। যেহেতু তার বয়স হয়েছে নতুনদের আসার সুযোগ করে দেওয়া তার দায়িত্ব বলে মনে করছেন অনেকে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী মুহম্মদ সাদেক কুরাইশী, দিপক কুমার রায়, অ্যাডভোকেট ইন্দ্রনাথ রায়, আব্দুল মজিদ আপেল, তাহমিনা আক্তার মোল্লা পৃথকভাবে প্রায় অভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন জেলায় অনেক সংঘবদ্ধ। দলে কোনো কোন্দল নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য নিজ নিজ যোগ্যতা বলে আবেদন করব। এক্ষেত্রে নেত্রী (শেখ হাসিনা) যা বলবেন তার ওপর আমাদের কোনো কথা থাকবে না। নেত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন, তার জন্য নির্বাচনে কাজ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অরুণাংশু দত্ত টিটো বলেন, তিনি ১৯৯৬ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি দাবি করেন, ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি দলের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু নিজ দলের কয়েকজন নেতা গোপনে তার বিরোধিতা ষড়যন্ত্র করায় তিনি হেরে যান। এই আসনের যুবক শ্রেণির আট শতাংশ সমর্থন তার পক্ষে রয়েছে। মনোনয়ন পেলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এদিকে, মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জননেতা মরহুম খাদেমুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে সাহেদুল ইসলাম সাহেদ বলেন, তিনি বাবার আদর্শকে ধারণ করে প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এবং তিনিও চান প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় যোগ্য, স্মার্ট ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া। আমার বাবা আওয়ামী লীগের শুরু থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নেত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ঠাকুরগাঁওয়ের রাজনীতি এবং নেতাদের সম্পর্কে জানেন। তাই বাবার আদর্শকে লালন করে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই, যদি নেত্রী দলীয় নমিনেশন দেন।

অন্যদিকে, বিএনপি থেকে ঠাকুরগাঁও আসনের একক প্রার্থী হবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনী এলাকাসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এই আসনের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকল্প কোনো প্রার্থীর নামও শোনা যাচ্ছে না। জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি সন্তান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ঠাকুরগাঁও আসনে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই।

এছাড়া, নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন চৌধুরী জাতীয় পার্টি থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক তরুণ নেতা রেজাউর রাজি স্বপন চৌধুরী রয়েছেন। জাপা নেতা স্বপন বলেন, পারিবারিকভাবেই তিনি খুব ছোটবেলা থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার দাদা প্রয়াত রেজওয়ানুল হক ইদু চৌধুরী ১৯৭২ ১৯৭৮ সালে আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি জাতীয় পার্টির মন্ত্রী ছিলেন। মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার দাদা জেলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। ওই সময় জেলার কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছিল। আর সেই কারণে জেলার মানুষ তার দাদাকে এখন পর্যন্ত সম্মান করে এবং মনে রেখেছে।

জেলার তথ্য অনুযায়ী, সদর আসনটিতে হিন্দু সম্প্রদায় মানুষের ভোট রয়েছে লক্ষাধিক। আর তৃণমূল ভোটাররা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের নতুন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থী হলে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন ভোট ব্যাংকে। আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত হলেও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করায় নৌকার বিজয় নিয়ে দলীয় অনেক নেতাকর্মী নতুন মুখের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। অপরদিকে, বিএনপির প্রার্থী আসনটিকে ছিনিয়ে নিতে এবার মরিয়া হয়ে উঠবেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।   

তবে গত ২০ বছরে জাতীয় পার্টির ভোটার কমলেও বেড়েছে জামায়াতের ভোটার। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর আসনটিতে জামায়াতের বিরাট সংখ্যক ভোট ব্যাংক রয়েছে। তবে হিন্দু ভোটারকে কাছে না টানতে পারলে বিএনপির আসনটি উদ্ধার করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে অভিমত স্থানীয় বিশ্লেষকদের। তবে প্রধান দুই দলের হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থীর কারণে আসনটি জাতীয় সংসদের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই আসনে ভোটের লড়াইয়ে চোখ থাকবে সারাদেশের।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *