পাটনা: প্রেম বা ভালোবাসা কখনই লিঙ্গ দেখে হয় না৷ বর্তমান যুগে সমকামী প্রেমের খবর প্রায়ই শোনা যায়৷ এমনকি সেই ভালোবাসা সংসার পর্যন্তও গড়ায়৷ এই বিষয়টির সঙ্গে অনেক পরিবার নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে৷ কিন্তু সবাই তো আর এক হয় না৷ মানতে পারে না সমকামীদের বিয়ে৷
তেমনি একটি ঘটনা ঘটল বিহারে৷ ১০ বছর আগে প্রমোদ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের সমস্তিপুরের শুক্লা দেবী৷ তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে৷ বেশ সুখেই চলছিল সংসার৷ হঠাৎই মাস ছয়েক আগে তাঁদের সংসারে ছন্দপতন ঘটে৷ শুক্লা দেবী ১৮ বছর বয়সী ননদ সোনি দেবীর প্রেমে পড়েন৷
নিজের ভালোবাসার কথা কোনো রকম লুকিয়া না রেখে প্রকাশ করেন ননদকে(sister in law)৷ সোনি দেবীও শুক্লার প্রস্তাবে রাজি হয়৷ নিজেরা রাজি থাকলে তো শুধু হবে না৷ আছে পরিবার৷ এরপর শুক্লা দেবী তাঁর ভালোবাসার কথা স্বামী প্রমোদকে জানান৷ তিনি কোনো রকম প্রশ্ন ছাড়াই তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেন৷
লোকে কি ভাবল এই সব না ভেবে নিজের বোনের সঙ্গে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন প্রমোদ বাবু৷ অন্যদিকে, শুক্লা দেবীও নিজের স্বামী ও দুই সন্তান ছেড়ে সোনি দেবীর সঙ্গে সংসার করতে শুরু করেন৷ এরপরই বাধ সাধে শুক্লা দেবীর শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা৷ স্থানীয় থানায় শুক্লা অভিযোগ করেছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর জীবনসঙ্গিনীকে অপহরণ করেছে৷ এরপরই প্রকাশ্যে এসেছে এই সমকামী প্রেম কাহিনি৷
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর দুটি বাসে ধাক্কা ট্রাকের, নিহত ৬, আহত বহু
তাঁর অভিযোগ, তাঁরা বিয়ের পর অন্য জায়গায় একসঙ্গে থাকতেন৷ সেখানে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আচমকা হানা দেয়৷ এরপর সেখান থেকে সোনি দেবীকে জোর করে নিয়ে গিয়েছে৷ এমনকি তাঁর সঙ্গে সোনির দেখাও করতে দিচ্ছে না পরিবার৷ নিজের ভালোবাসার মানুষকে ফিরে পেতে বাধ্য হয়ে শুক্লা দেবী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন৷
শুক্লা দেবীর স্বামী প্রমোদ বাবু জানান, তাঁর স্ত্রী ও বোন সুখে থাকলেই তিনি ভালো থাকবেন৷ তাই তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন তিনি৷ এমনকি বোন সোনিকে সুখে রাখতে শুক্লা দেবী থেকে সরকারিভাবে সুরজ কুমার নাম গ্রহণ করেছেন৷ শুধু পুরুষ পরিচয় গ্রহণ করাই নয় তিনি এখন সবসময় পুরুষদের পোশাক পরেন। চুল ছোট করে কেটে ফেলেছেন বলে জানান তিনি৷
রোসেরা থানার ইন্সপেক্টর কৃষ্ণ প্রসাদ জানান, একটি অভিযোগ জমা পড়েছে৷ এই কেসের জন্য একজন মহিলা ইন্সপেক্টরকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে৷ দুপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে৷
Source link