দেরাদুন (উত্তরাখণ্ড), 2 জুলাই: জঙ্গলে বেশ কয়েকজন চোরাশিকারী ঢুকে পড়েছে ! এমনটাই সন্দেহ করে দেশজুড়ে বনকর্মীদের কড়া নজরদারির নির্দেশ দিল বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (WCCB)৷ তারা চোরাশিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলে লাল সতর্কতা জারি করেছে । উত্তরাখণ্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থিত বেশ কয়েকটি সংরক্ষিত জঙ্গল পরিচালনাকারী আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছে ডব্লিউসিসিবি ৷
Loading …
//
Ad was not loaded
উত্তরাখণ্ডের করবেট এবং রাজাজি জাতীয় উদ্যান, সাতাউড়া, তাডোবা, পেঞ্চ, আমনগড়, পিলিভিট এবং বাল্মিকির পাশাপাশি বালাঘাটের মতো সংরক্ষিত অভয়ারণ্যগুলিতে বাঘ শিকারের আশঙ্কায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে । 29 জুন রেড অ্যালার্ট জারি করে ডব্লিউসিসিবি । সতর্ক বার্তায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, চোরাশিকারের দলগুলি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে ঘোরাফেরা করছে । গাড়চিরোলি এবং চন্দ্রপুরের মতো বাঘ অধ্যুষিত এলাকায় এই গ্যাংগুলি সক্রিয় রয়েছে । তাই ডব্লিউসিসিবি সমস্ত টাইগার রিজার্ভের আঞ্চলিক ডিরেক্টরদের অবিলম্বে স্পর্শকাতর এলাকায় টহল জোরদার করতে বলেছে ।
এ ছাড়াও, তাঁবু, মন্দির, রেলস্টেশন, বাস স্টেশন এবং অন্যান্য পাবলিক শেল্টারে বসবাসকারী সন্দেহভাজন যাযাবরদের উপর নজর রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে অনুসন্ধান ও অভিযান চালানোরও নির্দেশ দিয়েছে ডব্লিউসিসিবি । এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে । আরও বলা হয়েছে যে, সেইসব ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত, যেখান থেকে শিকারীরা সহজেই বনে প্রবেশ করতে পারে ।
Loading …
//
Ad was not loaded
আরও পড়ুন:সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কত ? কেন্দ্রের তথ্য খারিজ রাজ্যের !
উত্তরাখণ্ডের চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন ড. সমীর সিনহা বলেন যে, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার থেকে একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে এবং সেই মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “বর্ষা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চোরাশিকারীরা বনাঞ্চলে সক্রিয় হয়ে ওঠে । এমন পরিস্থিতিতে আমরা বিশেষ যত্ন নিই ।” বর্ষাকালে বন বিভাগের জন্য বন্যপ্রাণী রক্ষা করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । চোরাশিকারীরা বন্যার সুযোগ নেয়, কারণ রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়ার কারণে তার মধ্যে দিয়ে জঙ্গলে টহলদাবি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে ।
Source link