কোভিড-আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই দেশে নতুন বিপদ! জ্বরে সব শেষ, কী সেই রোগ? – GalachipaProtidin.Com
কোভিড-আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই দেশে নতুন বিপদ! জ্বরে সব শেষ, কী সেই রোগ? – GalachipaProtidin.Com

কলকাতা: এবার ছড়িয়ে পড়ছে জাপানি জ্বরের ভাইরাস। ছত্তিসগঢ়ের বস্তার বিভাগে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে সতর্কতা। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খবর। বিজাপুর জেলার ভৈরমগড় ব্লকে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আসলে আগেই এই ব্লকের পিনকোন্ডা কানেরপাড়ায় জাপানি জ্বরের কিছু ঘটনার কথা সামনে এসেছিল। এখানকার তিন জন নাবালকের রক্তের নমুনায় জাপানি জ্বরের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। এক সপ্তাহ আগেই ভৈরমগড় ব্লকের পিনকোন্ডা কানেরপাড়ায় রমনা নামের একটি মেয়ে জ্বর নিয়ে এসেছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের ম্যালেরিয়া সুপারভাইজার মেয়েটির রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেন। ফল বেরোতেই দেখা যায়, মিশ্র ম্যালেরিয়ার লক্ষণ রয়েছে। তবে জ্বর না কমার কারণে ওই নমুনা প্রথমে দন্তেওয়াড়ায় এবং পরে জগদলপুরে পাঠানো হয়। সুপারভাইজার সন্দীপ মারপল্লী জানিয়েছেন, মেয়েটির রক্তের নমুনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় যে, জাপানি জ্বরে আক্রান্ত মেয়েটি।

আরও পড়ুন: ‘বাদ’ সায়নী ঘোষ! ৫-এ ডাক ইডির, বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের! জল্পনা ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে

তিনি আরও জানান যে, পিনাকোন্ডার প্রতিটি বাড়িতে শূকর এবং বক প্রতিপালন করা হয়। আসলে এই দুই প্রাণীর দেহে এক প্রজাতির ভাইরাস পাওয়া যায়। এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ফলে জাপানি জ্বরে আক্রান্ত হয় মানুষ। এমনকী এই ভাইরাসের প্রকোপে প্রাণীদেরও মৃত্যু হয়। এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, জাপানি জ্বর নতুন কোনও রোগ নয়। এটা জাপানিজ এনকেফেলাইটিস নামেই পরিচিত। সাধারণত উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এই রোগের প্রকোপ সবথেকে বেশি। এই কারণে ভারত সরকার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে। সম্প্রতি ছত্তিসগঢ়ের বিজাপুরে জাপানি জ্বরে আক্রান্ত তিন জন রোগীর খবর পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বীরভূমের গ্রামে ঢুকতেই বেনজির অভিজ্ঞতা শতাব্দীর! গ্রামবাসীরা যা করলেন, তাজ্জব সাংসদ নিজেই

জাপানিজ এনকেফেলাইটিস কী? মূলত কিউলেক্স মশার কামড়েই এই রোগ হয়। সাধারণত কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। তবে রোগ গুরুতর হলে জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি, মাথা ঘোরা এবং কাঁপুনির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য টিকা দান করা আবশ্যক। এছাড়া এই ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য মশারি ব্যবহার করা আবশ্যক। আসলে মশার হাত থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা খুবই জরুরি। ফলে মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করা উচিত। তাই বাড়ির আশপাশে যাতে জল না জমে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা আবশ্যক।

Published by:Suman Biswas

First published:

Tags: India, Japanese Encephalitis, West Bengal news


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *