ঝালকাঠিতে বিস্ফোরণে নদীতে পড়া জাহাজের অংশে মিলল আরও ২ লাশ
ঝালকাঠিতে বিস্ফোরণে নদীতে পড়া জাহাজের অংশে মিলল আরও ২ লাশ

)

ঝালকাঠিতে জেলবাহী ট্যাঙ্কার সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনার তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে নিখোঁজ আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে বিস্ফোরণে নদীতে পড়ে যাওয়া জাহাজের ভাঙা অংশ থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম।

এর আগে রোববার জাহাজটির ইঞ্জিনরুম থেকে গ্রিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নিয়ে জাহাজটির নিখোঁজ চার জনের মধ্যে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম জানান, বিস্ফোরণের পর সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটির একটি অংশ উড়ে গিয়ে সুগন্ধা নদীতে পড়েছিল। সোমবার সকাল থেকে নদী থেকে জাহাজটির অংশ উদ্ধারে কাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ ’নির্ভিক’।

“পরে বেলা ১১টার দিকে ভাঙা অংশটি উদ্ধারের পর তাতে দুই জনের মরদেহ পাওয়া যায়।”

তবে তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা সেলিম।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সাগর নন্দিনী-২ ট্যাংকারটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পাড়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জন্য জ্বালানি তেল নিয়ে আসে। ৯ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে সেটি নোঙ্গর করা ছিল রাজাপুর গ্রামের কাছে।

শনিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে হঠাৎ করেই ট্যাংকারটিতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে জাহাজের পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঝালকাঠি জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও জাহাজের উদ্ধার হওয়া বাবুর্চির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জাহাজটিতে মোট ৯ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন, নিখোঁজ চারজনের মধ্যে রোববার দুপুরে জাহাজের ইঞ্জিনরুম থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহটি জাহাজের গ্রিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছেন তার মামা শফিকুল।

স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, জাহাজের মাস্টার রুহুল আমীন খান, সুপার ভাইজার মাসুদুজ্জামান বেলাল এবং সুকানীর সহযোগী আকরাম হোসেন নিখোঁজ।

সাগর নন্দিনী-২ নামের এই জাহাজটি মাত্র ছয় মাস আগে ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে চাঁদপুরে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে যাওয়ার পথে ভোলার তুলাতুলি কাঠিরমাথা এলাকায় ডুবে গিয়েছিল। তখন কুয়াশার মধ্যে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে ট্যাংকারটির তলা ফেটে গিয়েছিল।

অপরদিকে এখন পর্যন্ত বিস্ফোরিত জাহাজটি থেকে ৪ লাখ লিটার তেল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তারা।

এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে কোম্পানির ব্যবস্থাপককে (অপারেশন) প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড।

শনিবার দুর্ঘটনার পর থেকেই কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান।

আরও পড়ুন


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *