সরকারের বাজেট, ফিসক্যাল পলিসি, মনিটরিং পলিসি কোনো কিছুতেই মূল্যস্ফীতি কমানোর কোনো ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এবারের বাজেট আলোচনায় আমরা আশা করেছিলাম মূল্যস্ফীতি কমানোর ব্যাপারে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা হবে, কিন্তু তা হয়নি। এসব না করে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র একটি অংশ সরকারি চাকুরেদের প্রণোদনা দিয়ে সাধারণ মানুষকে উপেক্ষা করা হয়েছে। তাদের জন্য সরকার কী করল?
সরকারি চাকরিজীবীরা এখন ইনক্রিমেন্ট মিলিয়ে মোট ১০ শতাংশ বেশি বেতন পাবেন। পাঁচ ভাগ প্রণোদনার জন্য সরকারকে বছরে আরও চার হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ করতে হবে। এ টাকা কোন উৎস থেকে দেওয়া হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু এর চাপও পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। আর এটি যদি বেসরকারি আর্থিক খাত থেকে ঋণ নিয়ে দেওয়া হয় তারও নেতিবাচক প্রভাব আছে। সরকার বেসরকারি খাতকে আদেশ দিতে পারে না। সরকারি চাকরিজীবীদের এ প্রণোদনা দেওয়ার ফলে বেসরকারি খাতে একধরনের চাপ সৃষ্টি হবে।
এটা ঠিক, সরকার সবার উপকারের জন্য মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে। বাজারেও মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। কোনো কোনো পণ্যের আমদানি বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও ডলার সংকট, রিজার্ভ সংকট আছে। চাইলেই অনেক কিছু আমদানি করা যায় না। আর সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্যসহ সরকারের নানা প্রকল্প আছে। আমরা চাইব, মূল্যস্ফীতি যেন আর না বাড়ে।
ড. সেলিম রায়হান : নির্বাহী পরিচালক, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)
Source link