চোখের জন্য সঠিক লেন্স বাছবেন রোগী না চিকিৎসক? জেনে নিন আসল সত্য – News18 Bangla
চোখের জন্য সঠিক লেন্স বাছবেন রোগী না চিকিৎসক? জেনে নিন আসল সত্য – News18 Bangla

কলকাতা: চল্লিশ পেরোলেই চালসে! এমন কথা তো কবি লিখেছেন। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতিতে ছানি কাটিয়ে ফেলা এখন খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু ছানি অস্ত্রোপচার করে সঠিক লেন্স (IOL) বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সেই বিষয়ে শল্য চিকিৎসক পরামর্শ দিলেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে রোগীকেই। কিন্তু সে কি এতই সহজ কাজ! কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে, জেনে নেওয়া যাক তিরুচিরাপল্লির ম্যাক্সিভিশন সুপার স্পেশ্যালিটি আই হসপিটালের রিজিওনাল মেডিক্যাল ডিরেক্টর, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শিবু ভার্কের কাছ থেকে।

লেন্স বেছে নেওয়ার আগে নিজের ক্ষমতা এবং চাহিদা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সেক্ষেত্রে কোয়ালিটি এবং কোয়ান্টিটির বিচার করে দেখতে হবে।

আরও পড়ুন- এবারের শ্রাবণ মলমাস যুক্ত, জেনে নিন মলমাসে কোন কোন শুভ কাজ করা উচিত নয় ?

কোয়ান্টিটি ভিশনের মধ্যে পড়বে

১. ডিসট্যান্স ভিশন বা দূর দৃষ্টি। এর মধ্যে রয়েছে গাড়ি চালানো, দূরের কোনও লেখা হোর্ডিং ব্যানার, বাসের নম্বর পড়ার কাজ।

২. ইন্টারমিডিয়েট ভিশন বা মধ্যবর্তী দৃষ্টি। কম্পিউটারে কাজ করা, এক হাত দূরত্বে কোনও বই রেখে পড়া, টেবিলে খাওয়াদাওয়া করার সময় এই দৃষ্টি কাজে লাগে।

Dr. Shibu Varkey MS, DO, DNB, FRCS(UK)Regional Medical Director, Maxivision Superspeciality Eye Hospital, Tiruchirapalli

৩. নিয়ার ভিশন বা কাছের দৃষ্টি। খুব কাছ থেকে বই পড়া, সেলাই করা এর মধ্যে পড়ে।

অন্য দিকে, কোয়ালিটি ভিশনের অন্তর্গত হল ম্লান আলোয় দেখতে পাওয়ার ক্ষমতা, রঙ চিনতে পারার ক্ষমতা, রঙের বৈপরীত্য করতে পারা ইত্যাদি। এজন্য বিভিন্ন লেন্স (IOLs) পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে:

১. হাইড্রোফোবিক অ্যাসফেরিক মনোফোকাল লেন্স—

এই লেন্সে দূরত্ব, রঙ, বৈসাদৃশ্য এবং আবছা আলোতে দৃষ্টির সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে ইন্টারমিডিয়েট বা নিয়ার ভিশনের জন্য চশমা প্রয়োজন হতে পারে।

২. হাইড্রোফোবিক মাল্টিফোকাল—

এতে ডিসট্যান্স এবং নিয়ার ভিশনের জন্য সুবিধা পাওয়া যায়। ইন্টারমিডিয়েট ভিশনের জন্য চশমার প্রয়োজন হতে পারে। আবার রঙ এবং বৈপরীত্য ইত্যাদি বোঝার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। কম আলোয় দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে পারে।

৩. হাইড্রোফোবিক ট্রাইফোকাল/ইডিওএফ লেন্স—

এতে রঙ বোঝার ক্ষমতার সঙ্গে ডিসট্যান্স, ইন্টারমিডিয়েট এবং নিয়ার ভিশনের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে ম্লান আলোয় তেমন সুবিধা পাওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন– ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-র ট্রেলার রিলিজ, আলিয়ার মুখে ‘খেলা হবে’ শুনে যা বললেন দেবাংশু !

লেন্স বাছার আগে ভেবে দেখতে হবে:

• কী ধরনের দৃষ্টি সব থেকে বেশি প্রয়োজন, সেটিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে৷

• চশমা থাকলে সুবিধা হবে, নাকি চশমা থেকে একেবারে মুক্তি চাইছেন তা বুঝতে হবে।

  • বাজেটের কথাও ভেবে নিতে হবে।

নিজের মনের মধ্যে এই প্রশ্নগুলির উত্তর থাকলে শল্যচিকিৎসকের সঙ্গে বসে লেন্সের মডেল এবং ব্র্যান্ড নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

মনে রাখতে হবে এই লেন্সগুলো যখন টপিকাল ক্লিয়ার কর্নিয়াল মাইক্রো ইনসিশন ফ্যাকোইমালসিফিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে বসানো করা হয় তখন সবচেয়ে ভাল কাজ করে।

ছানির অস্ত্রোপচার করে কেমন লেন্স লাগাবেন, তা নির্ধারণ করার সম্পূর্ণ অধিকার রোগীর রয়েছে। তবে তা যেন সর্বোত্তম ফল দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *