দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন হল চোখের ধাঁধাঁ। হামেশাই নানা রকম অপটিক্যাল ইলিউশন ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে বের করতে হয় নানা রকম অবয়ব, অক্ষর ইত্যাদি। আর অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধানের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধাঁয় বিভিন্ন কোণ অথবা বিভিন্ন আকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এগুলি খুঁজে বের করতে পারলে বা সমাধান করতে পারলেই বোঝা যায় যে, মানুষটির বুদ্ধির জোর এবং আইকিউ কতটা! এখানেই শেষ নয়, অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধার সমাধান করার ধরন থেকে বোঝা যায় মানুষের চারিত্রিক দোষ-গুণও। এমনকী জানা যায়, তাঁর মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যও!
সম্প্রতি এমনই এক ধাঁধাঁ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে বিভিন্ন রকম মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে ছবিটার আসল রহস্যটা কী, সেটাই আজ খুঁজে বের করব আমরা! আপাতত যে ছবিটা চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে, সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন হাঙ্গেরির গ্রাফিক আর্টিস্ট গার্গলি ডুডাস। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটা কারখানা, তার চারপাশে মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র খরগোশ। তাদের কেউ বা গাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়ে ঘুম দিচ্ছে কাজে ফাঁকি দিয়ে, কেউ বা আবার কাজে ব্যস্ত। কাজ করতে গিয়ে গোলযোগও ঘটছে বিস্তর, একজন তো আবার পড়েই গিয়েছে রঙের কৌটোয়। তা, কাজটা ঠিক চলছে কী?
ডিম রঙ করা। এই ছবির মূলে আছে ইস্টার নিয়ে লোককথা, যেখানে ইস্টার বানি বা খরগোশরা ডিম রাঙিয়ে উপহার দেয় শিশুদের, সেই ডিমের খোসা ভাঙলেই ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে চকোলেট বা উপহার। ছবির ইস্টার বানিরা আপাতত সেই ডিম রঙ করার কাজই করে চলেছে। মাঠে ছড়িয়ে থাকা ডিমে চোখ রাখলে দেখাও যাবে কেমন সুন্দর নকশা তারা বুনেছে সাদা খোলে। এবার আমাদের কাজ হল এখান থেকে একটা পুরো সাদা ডিম খুঁজে বের করা, যা এখনও রঙ করা হয়নি। এটা খুঁজে বের করতে হবে ১০ সেকেন্ডে।
কঠিন কাজ, তাই না? বুদ্ধি খাটানো যাক। ওই খরগোশটাকে চোখে পড়েছে, যে পড়ে গিয়েছিল রঙের কৌটোয়? ওটাই আসল ব্যাপার, ওর তো ডিম রঙ করাই হয়নি। অতএব, ওর কাছাকাছিই রয়েছে সাদা ডিমটা, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Optical Illusion, Viral
Source link