নারী-পুরুষ নির্বিশেষে উন্মুক্ত শরীর, এই গ্রামে থাকার এটাই শর্ত!
গলাচিপা প্রতিদিন প্রকাশের সময় : জুলাই ৫, ২০২৩, ৮:৩২ অপরাহ্ন / ০

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে উন্মুক্ত শরীর, এই গ্রামে থাকার এটাই শর্ত!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বিশাল এই পৃথিবীতে কত কিছুই না ঘটে। আলাদা আলাদা দেশে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রীতি-রেওয়াজের নামে চলে অদ্ভুত সব প্রথা। এক দেশের মানুষ যখন অন্য দেশের এমন সব অদ্ভুত নীতি নিয়মের কথা জানতে পারেন তখন তারা বেশ অবাক হন।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে মাঝেমধ্যেই এমন ধরনের খবর ভাইরাল হতে দেখা যায় যা মানুষকে অবাক করে দেয়। বলা হয় এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজন অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থান। তবে জানেন কি এই পৃথিবীতে এমন একটি গ্রাম রয়েছে।
যে গ্রামে থাকতে হলে আপনি পোশাক পরতে পারবেন না? নারী-পুরুষ নির্বিশেষে উন্মুক্ত শরীরে প্রকাশ্যেই এখানে ঘুরে বেড়ান। আর এটাই নাকি এই গ্রামে থাকার নিয়ম। যা চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
তবে এটা মনে করবেন না যে এই গ্রামে যারা থাকেন তারা সকলে অশিক্ষিত, গরিব কিংবা আধুনিক সমাজের অংশ নন। এরা সকলেই শিক্ষিত, আধুনিক এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনের অভস্থ্য। আর্থিক দিক থেকে এই গ্রামের বাসিন্দারা সকলেই সমৃদ্ধ। কিন্তু নিয়ম অনুসারে এরা কোনদিনও পোশাক পরতে পারবেন না। জানেন কেন এই অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে এই গ্রামটিতে?
আসলে এই গ্রামটি অবস্থিত ব্রিটেনে। ১৯২৯ সালে অর্থাৎ প্রায় ১০০ বছর আগে চার্লস ম্যাকাসকি নামের ব্রিটেনের একজন ব্যক্তি ১২ একর জমি কিনেছিলেন। তিনি সেখানে একটি গ্রাম তৈরি করেন। ব্রিটেনের হার্ডফোর্ডশায়ারে অবস্থিত সেই গ্রামের নাম স্পিলপ্লাজ। গ্রামটি স্থাপিত হওয়ার পর এখানে প্রচুর উন্নতি হয়। অনেক আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে গ্রামটিতে।
এখন এই গ্রামে যারা বসবাস করছেন তারা সকলেই ধনী এবং উন্নত জীবনযাপন করেন। তবে তাদেরকে গ্রামের প্রতিষ্ঠাতার নিয়ম মেনে এখানে থাকতে হয়। চার্লসের শর্ত ছিল প্রকৃতি যেভাবে মানুষকে তৈরি করেছে সেইভাবেই এই গ্রামে থাকতে হবে। অর্থাৎ ন’গ্ন শরীর ঢাকার জন্য বাইরের কোনও উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না।
প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে অনাবৃত শরীরেই থাকতে হবে সকলকে। তারপর থেকেই কার্যত পোশাক না পরাটাই এই গ্রামের পরম্পরায় পরিণত হয়। যা আজও মেনে চলছেন এই প্রজন্মের গ্রামবাসীরা। এই নিয়ম যে শুধু যারা এখানে থাকেন তাদের উপরেই কার্যকর তা নয়। যারা বাইরে থেকে এখানে আসেন তাদেরকেও পোশাক খুলে ফেলতে হবে, এটাই নিয়ম।
Source link