জানা গেছে, আগে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাক কাঁচা মরিচ বাজারে আসত। প্রতিটি বড় ট্রাকে মরিচ আসে প্রায় ১০ হাজার কেজি। সে হিসাবে আগে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ কেজি কাঁচা মরিচ বাজারে ঢুকত।
গতকাল বুধবার দুটি ট্রাকে দেশীয় ও আমদানি মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কেজি কাঁচা মরিচ বাজারে এসেছিল উল্লেখ করে রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, দেশীয় মরিচের ফলন এবার নষ্ট হয়েছে খরা ও বৃষ্টির কারণে। তবে আমদানি বাড়তে থাকলে আর দেশে ফলন ভালো হলে দাম কমে যাবে।
নগর থেকে চকরিয়া উপজেলা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা এই পাইকারি আড়ত থেকেই মরিচ সংগ্রহ করেন। তবে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে বর্তমানে কাঁচা মরিচের বেচাকেনা কমেছে।
বহদ্দারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পাইকারি আড়তে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত মরিচ নেই। গতকাল প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে হয়েছে ৩৭৭ টাকায়। এর সঙ্গে পরিবহন, শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ৪২০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।
ছয় মাসে দাম বেড়েছে পাঁচ গুণ
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নগরের খুচরা বাজারগুলোতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। গতকাল প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের খুচরা দাম ছিল ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে, অর্থাৎ ছয় মাসে খুচরায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে পাঁচ গুণ।
ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে পর্যাপ্ত তদারকি নেই সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, জনবল সংকটের কারণে প্রতিদিন নগরের প্রতিটি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তবে অভিযোগ পেলেই অভিযান চালানো হয়েছে।
Source link