
উপনিবেশায়নের ইতিহাস রক্তাক্ত। তবে ভারতীয় উপমহাদেশসহ পূর্ব-ভারতীয় দীপপুঞ্জ অঞ্চলের উপনিবেশায়নের ইতিহাস শুধুমাত্র রক্তাক্তই নয়– এ ইতিহাস অধিকতর মসলাযুক্ত। আধা কাঁচা, পোড়ানো স্বাদহীন মাংস, মাছ, মদসহ অন্যান্য ইউরোপীয় খাবারের মধ্যে গোলমরিচ ও লবঙ্গের গুড়ো ছিড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা পৃথিবীর ইতিহাসকে গড়ে তুলেছে নতুনভাবে।
কালিকট শুধু ভারতবর্ষের প্রধান বন্দর ছিল না, ছিল ইতিহাসের দরজা। দিনে দিনে কালিকট হয়ে উঠেছিল এক মৌচাক, সারা দুনিয়ায় এর মধুর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। আকারে ছোট হলেও, দুই হাজার বছর ধরে এর বাণিজ্যিক সমৃদ্ধি গড়ে তুলেছে ভারতবর্ষের দ্বার হিসেবে। প্রধান বাণিজ্য মসলা, ভারতবর্ষের বাইরে মালয়-ইন্দোনেশিয়া হতে উৎপাদিত মসলাও চলে আসতো কালিকটে। এই মশলা বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি জড়িত ছিল ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের সাথে।
নামে ধর্মযুদ্ধ হলেও এ যুদ্ধে বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল আরো বেশি। ধর্ম যুদ্ধের শুরুতে ইউরোপীয় শক্তি সাফল্য লাভ করলেও পরের দিকে ৪র্থ ক্রুসেডে মুসলমানরা বীর সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করে এবং মিশর দখল করে নেয়। দুই পাশে ইউরোপ আর এশিয়া–মাঝখানে মিশর। ইউরোপীয়দের সমৃদ্ধশালী ভারতবর্ষে যাওয়ার আর কোনো পথ ছিল না। যদিও ইউরোপের সাথে ভারতের যোগাযোগ ছিল সেই প্রাচীনকাল থেকেই। মিশর যখন রোমের অধীন ছিল, রোমের বণিকরা মিশরের বন্দর দিয়ে ভারতবর্ষের সাথে যোগাযোগ করত। ইসলামী শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথেই ইউরোপীয়দের জায়গা দখল করে নেয় আরবরা, বন্ধ হয়ে যায় ইউরোপের সাথে ভারতবর্ষের দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক যোগাযোগ।
অন্যদিকে ভারতীয় মসলা ছাড়া ইউরোপীয়দের চলেনা। আর এ মসলার জন্য ইউরোপীয়দের পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় দুটো পথের উপরঃ একটি পথ মিশরের ওপর দিয়ে, আরেকটি পারস্যের উপর দিয়ে। এ দুটো পথেই মুসলমানদের বাঁধার কারণে মিশরীয় বণিকদের কাছ থেকে ভারতীয় মসলা কিনে নিত ভেনিসের বণিকরা। তারা ইউরোপের মসলার বাণিজ্যে একচেটিয়া অধিপত্য লাভ করে এবং ভেনিস অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি নগরীতে পরিণত হয়। মসলার বাণিজ্যে মুসলমানদের ও ভেনিশীয়দের একচেটিয়া অধিপত্য হ্রাস করার জন্য ইউরোপীয়দের একমাত্র উপায় ছিল নতুন নৌপথ আবিষ্কার করা। আর এ কৃতিত্ব পর্তুগিজদের।
তখনও রয়ে গেছে ক্রুসেডের রেশ। স্পেন পর্তুগাল ইত্যাদি দেশকে সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হয় মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতবর্ষের মসলার বাজার পুরোপুরি মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণে। পর্তুগালের রাজা ডোম ম্যানুয়েল স্বপ্ন দেখলেন তার মাধ্যমে ভারতবর্ষসহ সকল অনাবিষ্কৃত দুনিয়া খ্রিস্ট ধর্মের অধীনে চলে আসবে, আরবদের অনাচার দূর হবে, মসলার রাজ্যের অধিপতি হবে পর্তুগাল– ইউরোপের সবাই তার কাছে ছুটে আসবে, কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালবে তার পায়। তিনি নৌ-বিদ্যালয় স্থাপন করলেন, সেরা সেরা নাবিক ও নৌযান তৈরি করলেন- দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করলেন। আফ্রিকার নানা জায়গায় জয় করলেন, গির্জা স্থাপন করলেন, কিছু কিছু খ্রিস্টানদের পুনর্বাসন করলেন। সর্বোপরি তিনি সারা দুনিয়ায় একচ্ছত্রভাবে অভিযান পরিচালনা ও দখল করে খ্রিস্টধর্ম সমুন্নত রাখার জন্য পোপের সম্মতি ও আশীর্বাদ লাভ করলেন।
ডোম ম্যানুয়েলের নির্দেশে পর্তুগীজরা কামান ও ভারী অস্ত্র-শস্ত্রসহ কালিকটে পৌঁছায় এবং বাণিজ্যের অনুমতি নেয় । উদ্ধত পর্তুগালদের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। তারা দেখে তাদের আগেই পুরো ভারতবর্ষের বাণিজ্যের করায়ত্ব করে রেখেছে আরবীয় বণিকরা। পর্তুগিজরা ভারত মহাসাগরের লুটপাট হত্যাযজ্ঞ চালায়। কালিকট বন্দর দখল করার জন্য কালিকটের রাজা জামুরিন এর বিরুদ্ধে তারা দুটি বড় যুদ্ধ পরিচালনা করে। প্রথম যুদ্ধে ভারতীয় হিন্দু, মুসলমান ও আরবিয়া বণিকদের ঐক্যবদ্ধ সামুদ্রিক গেরিলা যুদ্ধের কাছে ভারী অস্ত্র কামানসহ ভাস্কো-দা গামার বাহিনী পরাজিত হয়। তবে মিশরীয়রা বুঝতে পারে ভারতীয়দের সাথে পর্তুগিজদের যুদ্ধে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট রয়েছে। ১৫০৭ সালের দিকে মিশরীয় সেনাপতি মীর হোসেন এর নেতৃত্বে মিশর এবং ভারতের সম্মিলিত বাহিনী কামান সহযোগে পর্তুগিজদের আক্রমণ করে বিপর্যস্ত করে ফেলে , পর্তুগিজ সেনাপতি পর্যন্ত নিহত হয়।
১৫০৯ সালের দিকে পর্তুগিজ বাহিনী আসল ট্রাম্প কার্ড খেলে। গুজরাট সুলতানের প্রতিনিধি দিউ দ্বীপের শাসনকর্তা মালিক আয়াজকে ম্যানেজ করে ফেলে। পর্তুগিজরা মীর হোসেনের বাহিনী আক্রমণ করে, মালিক আয়াজ তাদের রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
অভিমানী মীর হোসেন ক্ষোভে দুঃখে বাহিনী নিয়ে মিশরে চলে যান। তার এ অভিমান শুধুমাত্র ভারতবর্ষের দুয়ার পর্তুগিজদের জন্য খুলে দেয়নি, মিশর হাতছাড়া করে তাদের সোনার ডিম পাড়া হাঁস -তথা ভারতবর্ষের সাথে বাণিজ্য করার একচ্ছত্র মালিকানা। এরপর বাকিটা পর্তুগিজদের সমুদ্রপথ দখল ও বিজয় উল্লাসের ইতিহাস।
পর্তুগিজদের সাফল্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কারিগর এফেনসো আলবুকার্ক। তিনি স্থায়ী ঘাটি নির্মাণে মনোযোগ দেন, নানা জায়গায় দুর্গ প্রতিষ্ঠা করেন। পর্তুগিজদের প্রতিষ্ঠা করেন আরব বণিক তথা মুসলমানি শক্তির শত্রু হিসেবে। তার এ ডিভাইড এন্ড রুল আশেপাশের হিন্দু রাজাদের নিরব সম্মতি পায়। স্থানীয় মুসলমান শাসনকর্তারাও নিজেদের আরব বণিকদের থেকে ভিন্ন মনে করে হাত গুটিয়ে রাখে। এসবের পূর্ণ সুযোগ নেয় পর্তুগিজরা। কালিকটে ব্যর্থ হয়ে আলবুকার্ক স্থানীয় সেনাপতি তুলার্জিকে হাত করে বিনাযুদ্ধে ১৫১০ সালে গোয়া দখল করে নেয়। গোয়াতে দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে তোলে। আরব বণিকদের মসজিদের ভেতরে জড়ো করে পুড়িয়ে মারে। এতসব কুকর্মের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পোপের দেয়া ম্যান্ডেটকে।
আলবুকার্ক ভারতে এসে শীঘ্রই বুঝতে পারলেন কালিকট বন্দরের মসলার ব্যবসা আসলে নির্ভরশীল ইন্দোনেশিয়া, মালয়, জাভা, মালাক্কা ইত্যাদি এলাকা থেকে আগত উন্নত মানের মসলার উপর। তিনি দৃষ্টি ফেরালেন এসব দ্বীপপুঞ্জের দিকে। সমুদ্রে পর্তুগিজদের দস্যুবৃত্তি এবং তাদেরকে সমস্ত নৌপথের মালিক হিসেবে ঘোষণা দেয়য় পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বহুদিন আগে থেকে এসব এলাকায় চলে আসা হিন্দু-মুসলমানদের ঠোকাঠুকিকে আলবুকার্ক সুযোগ হিসেবে নিলেন। ১৮ টি অস্ত্র বোঝাই জাহাজ নিয়ে মালাক্কার বন্দরে আলবুকার্ক ঘোষণা করলেন, তার এই যুদ্ধ শুধুমাত্র মুসলমানদের বিরুদ্ধে, অন্য ধর্মের লোকজন তার কাছে নিরাপদ। তার নির্দেশে আরব বণিকদের ও মুসলমানদেরকে পুড়িয়ে মারা হলো, বাণিজ্য জাহাজগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলো। পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়া মুসলমানদের জলচর প্রাণীদের মত শিকার ও হত্যা করা হলো। ভয়ে হিন্দুরাও স্তব্ধ হয়ে গেল। মালাক্কার রাজাকে রাজ্যচ্যুত করল। মানবতা বিরোধী জঘন্য অপরাধকে খ্রিস্ট ধর্মের পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে ঘোষণা করল– আর আরব বণিকদের থেকে সমস্ত মসলার ব্যবসা ছিনিয়ে নিল, সমুদ্র সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে নিল।
পরে যখন তুর্কিরা মিশরের মালিকানা পায়, ১৫৩৮ এর দিকে কালিকটের রাজা জামোরিন , মিশর ও তুর্কিরা মিলে পর্তুগিজদের হটানোর জন্য অভিযান চালায়। তবে ততদিনে পর্তুগিজরা আর নতুন কোন উপনিবেশিক শক্তি নয়, তাদের শিকড় ছড়িয়ে গেছে গেছে অনেক নিচে। তুর্কিরা ব্যর্থ হয় এবং হাত গুটিয়ে চলে যায়। এতকিছুর মধ্যেও পর্তুগিজদের কূটনৈতিক সাফল্য ছিল লক্ষণীয়। তারা সকলকে বোঝাতে সে সক্ষম হয়েছিল যে তারা শুধুমাত্র আরব বণিকদের শত্রু আর সকল মানুষের বন্ধু। তারা মুসলমান বিদ্বেষী হলেও ভারতীয় মুসলমানদেরকে হামলা করতে চাইতো না। অন্যদিকে ভারতীয় রাজারা মনে করত, এ ব্যবসা আরবরা করুক বা ইউরোপিয়ানরা করুক– এতে তাদের কোন ক্ষতি বৃদ্ধি নেই। একমাত্র কালিকট ছাড়া সকল রাজ্যগুলোতেই পর্তুগীজরা প্রশ্রয় এবং সাহায্য পেয়েছে।
মার্টিন লুথারের প্রোটেস্ট্যান্ট ভাবধারা খ্রিস্ট ধর্মের যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসে। পোপের নির্দেশ শুধুমাত্র ক্যাথলিকদের জন্য প্রযোজ্য হয়। সমুদ্রজয়ে পোপ কর্তৃক পর্তুগালকে একচ্ছত্র ম্যান্ডেট প্রটেস্ট্যান্টরা অস্বীকার করে। অন্যদিকে পর্তুগিজরা একক ব্যবসার সুযোগে মসলার আকাশচুম্বী দাম বাড়িয়ে দেয়। ডাচরা মসলার ব্যবসাসহ পর্তুগিজদের শক্তির ভিত্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়। পর্তুগিজদের লুকিয়ে রাখা জলপথের খবর তারা গুপ্তচর বৃত্তির মাধ্যমে বের করে নেয়। পরীক্ষামূলকভাবে ডাচরা ইন্দোনেশিয়াতে গিয়ে মসলার ব্যবসা শুরু করে এবং লাভের অংক দেখে পিলে চমকে যায়। ১৬০২ সালে ডাচদের বণিক সমিতি সরকার থেকে সমুদ্রপথে পথে ব্যবসা করার অধিকার লাভ করে। তারা স্থানীয়দের সাথে সন্ধি চুক্তি করে এবং অভিযান চালিয়ে পর্তুগিজদের বিতাড়িত করা শুরু করে। আলবুকার্ক পর্তুগীজদের জন্য যে শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল, ডাচরা তা ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। তারা এমবায়ুনা, জাকার্তা, মালাক্কা, কলোম্বোসহ সকল শক্তিশালী ঘাটিগুলো হতে পর্তুগিজদের বিতাড়িত করে নিজেরা দখল করে নেয়।
লক্ষনীয় যে, পর্তুগিজরা বিভিন্ন দুর্গ ও ঘাঁটি স্থাপন করলেও তাদের উদ্দেশ্য ছিল মসলার ব্যবসা কে সুসংহত করা। অন্যদিকে পর্তুগিজদের মতোই মসলার গন্ধে ডাচরা এ এলাকাগুলোতে আসলেও তারা পরবর্তীতে মন দেয় সাম্রাজ্য স্থাপন করার দিকে। চতুর ডাচরা আগাম হিসেবে দাদনের টাকা দিয়ে রাখতো, পরবর্তীতে নানা ফাঁদে ফেলে চাষীদের জমি কোম্পানির নামে জমা করতে থাকে। কোম্পানির জমির বাইরে মশলা চাষ বন্ধ করে দেয়। একসময়ের মালিক চাষীদের খেতমজুর হিসেবে নির্মম পরিশ্রম করতে বাধ্য করায়।
তারা চাষীদের অত্যাচার করতে থাকে, অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে ফেলে। হাজার হাজার চাষীদের রক্তে লাল হয় নিজেদের জমি। হাজার হাজার চাষী না খেয়ে মারা যায়। এসব চাষীদের অভাব পূরণ করার জন্য দূর হতে ক্রীতদাস নিয়ে আসা হতো। যে সব এলাকায় খাদ্যের অভাব হতো, সে এলাকার লোকজন অন্য এলাকার লোকদের ক্রীতদাস হিসেবে ধরে নিয়ে এসে, বিনিময়ে ডাচদের কাছ থেকে খাবার সংগ্রহ করত। এক সময়ে ইউরোপে কফির চাহিদা বেড়ে গেলে এ এ এলাকাগুলোতে মশলার পরিবর্তে কফির চাষ চালু করে দেয় ডাচরা। তারা হয়ে গেল এই এলাকার সমস্ত কফি বাগানের মালিক আর স্থানীয়রা ক্রীতদাস বা ক্ষেতমজুর।
ডাচদের এই অনাচারের ভুক্তভোগী শুধুমাত্র এ জনপদের লোকজন ছিল না, ইউরোপীয়দেরকেও তারা যথেষ্টই ভুগিয়েছে। অতিরিক্ত চড়া দামে মসলার ব্যবসা ইংল্যান্ডের ব্যবসায়ীদেরকে ক্ষুব্ধ করে। সেখানকার অর্থনীতিবিদরা সরকারকে মনে করিয়ে দেয়, ডাচদের থেকে মশলা নিতে গিয়ে বেহুদায় অনেক টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে শরৎকাল থেকে বসন্তকাল পর্যন্ত মসলা ছাড়া বিস্বাদ নোনা মাংস খেয়ে আর কতদিন চলে? মাছ, মদ কোনটাই কি মসলা ছাড়া জমে? তাই ব্রিটিশটার নজর দেয় মসলা বাণিজ্যের দিকে।
ব্রিটিশদের বাণিজ্যিক বুদ্ধিটা আরেকটু ভালো ছিল। তারা দেখলো ইন্দোনেশিয়াতে ভারতীয় বস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা। ব্রিটিশরা ভারত থেকে বস্ত্র নিয়ে ইন্দোনেশিয়াতে বিক্রি করে যে টাকা মুনাফা হত তা দিয়ে বৃটেনে মসলা কিনে নিয়ে যেত। তবে ইন্দোনেশিয়াতে ব্রিটিশরা খুব বেশিদিন সুবিধা করতে পারেনি। তারা বস্ত্রের জন্য যে ভারতবর্ষের উপর নির্ভরশীল ছিল সেদিকেই অধিকতর মনোযোগ নিবেশ করে। আর এই মনোযোগের কারণেই ভারতবর্ষ পায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন।
এ মসলার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর অনেকগুলো শক্তির উত্থান পতন ঘটেছে। অনেক রাজ্য ধ্বংস হয়েছে। লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, হাজারো মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করেছে। ক্রীতদাস ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছিল এ এলাকায়। আর উপনিবেশায়নের ইতিহাসে সব কিছুই করা হয়েছে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে, ওভারকোট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ধর্মকে।
Source link