আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৬৮-তেও কী করে এত মোহময়ী রেখা? মণীশ মালহোত্রার বিশেষ ডিজাইন করা পোশাক পরে ফের এই প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। ‘প্রবীণ’ শব্দটা যে তাঁর অভিধানে নেই, প্রমাণ করলেন। কখনও ময়ূরের পালক লাগানো সাজসজ্জা। কখনও গাঢ় লাল ভেলভেটের পোশাকে পাশ্চাত্যের অভিজাত রমণী। রেখা এখনও সব ‘লুক’-এই অতুলনীয়। দীর্ঘদিন ক্যামেরা থেকে দূরে। তারপরেও তাঁর আবেদন ঝলসে উঠেছে প্রতিটি ছবিতে। যা নারী-পুরুষের ঘুম কাড়তে বাধ্য। প্রথম সারির আন্তর্জাতিক ফ্যাশন পত্রিকার মলাটে এবং পাতায় কেবল তিনি। বলিউড বরাবর এই রেখাকেই চিনত। সেই ‘রূপ’ ফিরতেই তোলপাড় মায়ানগরী।
কেমন সাজে সেজেছেন রেখা? আধুনিক থেকে সনাতনী— সব সাজেই সেজেছেন। যেমন, তাঁর মলাট ছবি।
সেখানে তিনি পুরোপুরি ময়ূরী। ময়ূরের পালকের মোটিফ লাগানো পাগড়ি, গয়না, পোশাক, মণিবন্ধ। সব মিলিয়ে বর্ষার উপযুক্ত সাজ। সিল্কের কাপড় দিয়ে বানানো এই পোশাক যেন তাঁকেই মানায়। আলো-আঁধারের খেলা শরীরে। রহস্যময়ী রেখার রহস্য নতুন করে হাতছানি দিয়েছে।
পত্রিকার আর এক পাতায় তিনি যেন ‘মুঘল এ আজম’। মাথা থেকে পা পর্যন্ত ভারী গয়না। পরনে আনারকলি সালোয়ার-কামিজ। ঘিয়ে সাদা টিস্যু কাপড়ে তৈরি গোটা পোশাক। রেখা মনে পড়িয়ে দিয়েছেন সেলিমের আনারকলিকে।
সেই রেখাই ধারালো পাশ্চাত্য পোশাকে। মণীশ তাঁকে নতুন রূপে সাজাতে বেছে নিয়েছেন গাঢ় লাল ভেলভেট। তাই দিয়ে তৈরি উন্মুক্ত কাঁধের গাউন, মাথার পাগড়ি। কখনও তিনি ধরা দিয়েছেন সাদা-কালো সিল্যুয়েটে। এই সাজে পাগড়ি সরে চোখ ঢাকা লেসের টুপি।
প্রতিটি ছবি একে অন্যের থেকে বিপরীত।
রেখা আবারও ঝকমকে ব্রোকেডের ভারী জ্যাকেটে। পা ছোঁয়া জ্যাকেটের পরতে পরতে মণিমুক্তোর ঝলমলানি। মাথায় রত্নখচিত উষ্ণীষ! রেখা এখানে যেন সম্রাজ্ঞী। এভাবেই সাজসজ্জা আর দু’দশক পরে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই রেখা ফের টিনসেল টাউনের পাটরানি। একথা স্বীকার করে নিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনারও। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁর জন্য রাতের পর রাত জেগে পোশাক নিয়ে গবেষণা করেছি। তবে ‘স্বর্গের অপ্সরা’ মর্তে ধরা দিয়েছেন। আমার পরিশ্রম সার্থক।’’
Source link