যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর পরিণতির হুমকি দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ
যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর পরিণতির হুমকি দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ

গত বছর তেল উৎপাদন কমানোয় সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ তোয়াক্কা না করে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সৌদি আরবকে ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ওই সময় সৌদি সরকার কূটনৈতিক বিবৃতির মাধ্যমে নরম গলায় বিষয়টি মানিয়ে নিয়েছিল। তবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেননি বলেই মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের পাওয়া নথি অনুযায়ী, সৌদি যুবরাজ নাকি হুমকি দিয়েছিলেন, কয়েক দশকের পুরোনো মার্কিন-সৌদি সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটবে এবং তেল উৎপাদন কমানোর জবাবে প্রতিশোধ নিলে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক খরচ আরোপ করা হবে।

নথি অনুযায়ী, সৌদি যুবরাজ মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আর লেনদেন করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তবে এসব ঘটনার আট মাস পরেও জো বাইডেন আরব দেশটিকে কোনো পরিণতিতেই ভোগাতে পারেননি। পাশাপাশি সৌদি যুবরাজও শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার জেদ্দায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সৌদি যুবরাজের সঙ্গে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, সৌদি যুবরাজের হুমকি সরাসরি মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা সৌদি আরবের এমন হুমকি সম্পর্কে অবগত নই।’

এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি দূতাবাসের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে তেল-নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়গুলো নিয়ে মার্কিন-সৌদির দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে চীনের আগ্রহও বাড়ছে।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *