সরকার ও প্রশাসন চাইলে ‘ডাকসু ইজ এ মাস্ট’: সাবেক ভিপি মাহফুজা
সরকার ও প্রশাসন চাইলে ‘ডাকসু ইজ এ মাস্ট’: সাবেক ভিপি মাহফুজা

নিয়মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন না হওয়ার পেছনে সরকার ও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবই প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসুর) প্রথম এবং একমাত্র নারী ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম।

আজ রবিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি (ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র) মিলনায়তনে ‘শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অসচেতনতাই ডাকসুর স্থবিরতার মূখ্য কারণ’ শীর্ষক এক ছাত্র-শিক্ষক বিতর্ক সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মন্তব্য করেন তিনি। এই বিতর্কের আয়োজন করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস)। 

এসময় এই বির্তকের শিরোনাম নিয়ে অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, আজকের সাবজেক্ট যেটা দেয়া হয়েছে সেটা বির্তকের জন্য বিকর্ত বলে অমি মনে করি। এখানে আমি দুটো বিষয় মনে করি।

“আমার সরকার, আমার দেশ, আমার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন যারা ক্ষতমায় আছেন তাদের সদিচ্ছা হচ্ছে ডাকসুর স্থবিরতার প্রথম এবং প্রধান কারণ বলে মনি করি। যদি আমার সরকার চাই, প্রশাসন চাই, রাজনৈতিক যে পরমণ্ডলে যারা আছেন তারা যদি চান তাহলে ‘ডাকসু ইজ এ মাস্ট’। আমার মনে হয় ডাকসু আসবে এবং আসতেই হবে। তবে সেখানে অবশ্যই একটা বড় নিয়মক অথবা ফ্যাক্টর হচ্ছে আমার ছাত্র সমাজ।”

তারা যদি রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয় তাহলে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচনে কোন বাঁধা থাকবে না বলে মনে করেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন পেয়ে ১৯৬৬-৬৭ মেয়াদে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হওয়া মাহফুজা খানম। এসময় বর্তমান শিক্ষার্থীরা অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে সচেতন বলেও মনে করেন তিনি।

ছাত্র-শিক্ষক বিতর্ক সভায় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির চিফ মডারেটর অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।

এসময় বিতর্কের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া, আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এবং কমিনিউকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাওহিদা জাহান শান্তা।

বিপক্ষে বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি শেখ মো. আরমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদা আক্তার তমা এবং সাবেক সহ-সভাপতি রুভায়েত রিভান।

প্রীতি বিতর্ক হওয়ায় বিজয়ী ঘোষণা না করে শুধু আলোচনার মাধ্যমেই বিতর্ক অনুষ্ঠান শেষ করা হয়। বিতর্ক শেষে পক্ষ ও বিপক্ষ থেকে উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করেন অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।

পরে বিতর্ক সভায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম বলেন, দু’পক্ষই অত্যন্ত জোরালোভাবে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। সেজন্য দুপক্ষকেই ধন্যবাদ জানাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯২১ সালে। প্রতিষ্ঠার পর ১৯২৩-২৪ এর দিকে ডাকসুর প্রতিষ্ঠা হয়। তখন থেকে ধারাবাহিকভাবে ডাকসু চলছিল। বাংলাদেশ হওয়ার পর দীর্ঘ ২৮ বছর ডাকসু বন্ধ ছিল। 

তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য ডাকসু একটা ভাইটাল জায়গা। ডাকসুর কর্ম হলো দুই ধরনের। একটি দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের সমস্যা প্রশাসনকে জ্ঞাত করানো এবং প্রশাসনের কাছ থেকে কাজগুলো বাস্তবায়ন করা। আরেকটি দায়িত্ব হলো বৃহত্তর পরিমন্ডলে দেশের রাজনৈতিক অবস্থাকে এড্রেস করে ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমে ভালো বাংলাদেশ উপহার দেওয়া।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *