হাতে লেখা তথ্য আপলোড না করায় অনেকের জন্মনিবন্ধন তথ্য সার্ভারে নেই
হাতে লেখা তথ্য আপলোড না করায় অনেকের জন্মনিবন্ধন তথ্য সার্ভারে নেই

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সিস্টেমের (বিডিআরআইএস) সার্ভার হতে বিপুল জন্মনিবন্ধন তথ্য উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মূলত ঠিক নয়। এ সংক্রান্ত তথ্য উধাও হয়নি। অনেক নিবন্ধক কার্যালয় তাদের ম্যানুয়াল রেজিস্টারে আগের হাতে লেখা জন্মনিবন্ধন তথ্যাদি অনলাইনভুক্ত না করায় অনেক নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তথ্য অনলাইনে অর্থাত্ সার্ভারে নেই। অর্থাৎ ঐ নিবন্ধন তথ্যসমূহ কখনো অনলাইনেই আপলোড করা হয়নি বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়।

কার্যালয় থেকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে হাইকোর্টকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক নিবন্ধক কার্যালয়কে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তা সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালিত হয়নি। তৎকালীন জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন প্রকল্প কার্যালয়ের (বর্তমান রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়) ম্যানুয়াল জন্মনিবন্ধন অনলাইনভুক্ত করার বিপুল কর্মযজ্ঞ মনিটরিং করার সামর্থ্যও তখন ছিল না। এছাড়াও, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অতিমাত্রায় ব্যবহারকারীর চাপে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন সার্ভার ও বিআরআইএস সফটওয়্যারটি অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং তিন মাস বিকল অবস্থায় ছিল। সফটওয়্যার সচল ও ডাটাবেজটি পুনরুদ্ধার করার জন্য সক্ষম জনবল জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন প্রকল্পের না থাকায় ইউনিসেফ কর্তৃক নিয়োগকৃত কনসালট্যান্ট, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও প্রকল্পের কারিগরি টিমের সহায়তায় সিস্টেমটি অটো ব্যাকআপসহ বিআরআইএস সফটওয়ার এবং ডাটাবেজ সচল করা হয়। এহেন অবস্থায় হাতে লেখা জন্মনিবন্ধন তথ্যাদি অনলাইনভুক্তকরণের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ডাটাবেজে কিছু ডাটার অবলুপ্তি ঘটে।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। পরে হাইকোর্ট এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য রেখেছেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন,  প্রতিবেদনটি অসম্পূর্ণ হওয়ায় ধার্য তারিখে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাইকোর্ট।

‘জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে নাগরিকেরা’ এবং ‘জন্মসনদ: বাংলাদেশে কয়েক কোটি মানুষের জন্মনিবন্ধন তথ্য সার্ভারেই নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এরপরই হাইকোর্ট এ বিষয়ে প্রতিবেদন তলব করে। ঐ তলবের পর কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয় রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইনপুটকৃত তথ্যই এই সার্ভারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত হয়। কিন্তু অনেক নিবন্ধক কার্যালয় তাদের আগের হাতে লেখা জন্মনিবন্ধন তথ্যাদি অনলাইনভুক্ত না করাতে অনেক নাগরিকের জন্মনিবন্ধন তথ্য অনলাইনে অর্থাত্ সার্ভারে নেই। এক্ষেত্রে সার্ভার থেকে তথ্য উধাও হয়ে যাওয়া বা সার্ভারের সংরক্ষিত তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার কোনো বিষয় জড়িত নয়। কোনো ডাটা চুরি হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ নষ্ট বা উধাও করেনি।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *