টেস্টিকুলার ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা তরুণের কথা – DW – 11.07.2023
টেস্টিকুলার ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা তরুণের কথা – DW – 11.07.2023

মাল্টে কুয়র একজন ট্রাইঅ্যাথলিট৷ প্রতিদিন অনুশীলন করেন৷ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন৷ কিন্তু একসময় এসবের প্রতি ক্রমেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি৷ কারণ পাঁচ বছর আগে তার জগত উলটে গিয়েছিল, তার অণ্ডকোষে সমস্যা দেখা দিয়েছিল৷

তিনি জানান, ‘‘অণ্ডকোষে এক ধরনের ভার অনুভব করছিলাম৷ হালকা টান আর চাপও অনুভব হতো৷ তখন ভেবেছিলাম, ‘আমি কি এখন সাঁতারে যাব, নাকি সরাসরি ইউরোলজিস্টের কাছে চলে যাবো?’ কারণ… তখন আমার ভালো অনুভব হচ্ছিল না৷”

মাল্টের বয়স তখন ছিল ২২৷ পড়াশোনা করতেন৷ এমন বয়সেই টেস্টিকুলার ক্যানসার হতে পারে৷ সাধারণত ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সি পুরুষেরা এতে আক্রান্ত হন৷

শুক্রাণু যেখানে গঠিত হয় সাধারণত সেখানে টেস্টিকুলার ক্যানসার হয়৷ চিহ্নিত করা না গেলে এটি অন্যান্য টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যেমন এপিডিডিমিস৷ ক্যানসারের কোষ যদি রক্ত ​​প্রবাহে প্রবেশ করে তাহলে তা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে৷ এই অবস্থায় ব্যথা না করার বিষয়টি বিপজ্জনক৷

টেস্টিকুলার টিউমার খুব দ্রুত বড় হতে পারে- ১০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আকার দ্বিগুণ হতে পারে৷ তাই ধরা পড়ার পর দ্রুত চিকিৎসা করাতে হয়৷

মাল্টের এখন মাত্র একটি অণ্ডকোষ আছে৷ তবে টেস্টোস্টেরনের মতো গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরির জন্য তা যথেষ্ট৷ অস্ত্রোপচারের পরও তার চিকিৎসা চলেছে৷

অণ্ডকোষের ক্যানসারজয়ী এক তরুণের কথা

This browser does not support the video element.

তিনি বলেন, ‘‘ভাবছি, ‘টিউমার চলে গেছে৷ সবকিছু ঠিক আছে৷ লাইফ গোজ অন৷ আমি পড়াশোনা করতে পারবো, ডিগ্রি নিতে পারবো৷ একদিন চাকরি পাব৷’ তবে পেছন ফিরে তাকালে মনে হয়, এগুলো হয়ত সম্ভব ছিল না৷”

কারণ, মাল্টের ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল- যাকে বলে মেটাস্ট্যাটিস৷ তলপেটে পাঁচ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি টিউমার ছিল৷ ২২ বছর বয়সে তাকে কেমোথেরাপি নিতে হয়েছে৷

মাল্টে জানান, ‘‘দুদিন খুব বিষন্ন ছিলাম৷ নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, এমনকি, আমার শেষকৃত্য নিয়েও ভেবেছিলাম, কারণ আপনার একটা প্ল্যান বি থাকা প্রয়োজন৷ আমার আসলেই ভয়ংকর চিন্তা হয়েছিল৷ ২২ বছর বয়সে সেগুলো ভালো চিন্তা ছিল না৷ তবে এও ভেবেছিলাম যে, আমাকে লড়তে হবে৷”

তিন মাস ধরে তাকে তিনবার কেমোথেরাপি নিতে হয়েছে৷ তার চুল পড়ে গিয়েছিল৷ জীবন পুরো বদলে গিয়েছিল৷

ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ইয়াএল বোনিন-গ্রুবার মাল্টের চিকিৎসক ছিলেন৷ তিনি বলছেন, কেমো ছাড়া বিকল্প ছিল না৷

কুঁচকিতে চাপের কারণে মাল্টেকে প্রায় চার মাস ক্যানসারের চিকিৎসা নিতে হয়েছে৷ ভাগ্য ভালো যে, তার সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা এখনও আছে৷ ফলোআপ বলছে, ক্যানসার আর ফিরে আসেনি৷ তবে সবার ভাগ্য এত ভালো হয় না৷ কারণ অল্পসংখ্যক রোগী ডাক্তারের কাছে যান৷ ক্যানসার যে আছে, সেটা হঠাৎ করেই ধরা পড়ে৷

মাল্টে বলেন, ‘‘যদি খেয়াল না করতাম তাহলে হয়ত এতদিনে আমার জীবন শেষ হয়ে যেত৷ আমার মেটাস্ট্যাসিস হতো৷ সেক্ষেত্রে কেমোতে কাজ হতো না৷ তাই আমি যে সমস্যাটা খেয়াল করতে পেরেছি, তাতে আমি খুব খুশি৷ সবাইকে বলবো, তারা যেন পরীক্ষা করান৷”

জাহিদুল হক/জেডএইচ


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *