ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনের এইডিস মশা দমন অভিযানে বিভিন্ন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সাড়ে ১২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আদায় করেছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
দুই সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, অফিস ভবনে যাচ্ছে। যেখানে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে জরিমানা করা হচ্ছে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত শনিবার থেকে মাসব্যাপী অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। প্রথম দিন ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় দিন ৬ লাখ টাকা, তৃতীয় দিন ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার অভিযানের চতুর্থ দিনে এইডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২১টি মামলায় ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর খিলগাঁও তালতলা এলাকায় অভিযানে বাসাবাড়ি, নির্মাণাধীন ভবন, ফাঁকা প্লটে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলায় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় অভিযানে ৪টি ভবনে এইডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অঞ্চল-২ এ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, অঞ্চল-৫ এ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, অঞ্চল-০৪ এ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অঞ্চল-৬ এ ৮৫ হাজার টাকা, অঞ্চল-৯ এ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ডিএসসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার ধানমণ্ডি ১৫/এ, দেওয়ানবাগ, মায়াকানন, নবাবগঞ্জ, জিন্দাবাহার প্রথম লেন, বংশাল, অভয় দাস লেন, আর কে মিশন রোড, মান্ডা, উত্তর যাত্রাবাড়ী ও দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে।
ধানমণ্ডি ১৫/এ এলাকায় আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক কর্তৃক নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৯ এ উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৪৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযানে মাত্র ১টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ওই ভবন মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, এদিন সর্বমোট ২৬৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘বিশেষ চিরুনি অভিযান’ পরিচালনা হচ্ছে বলে জানান হয়েছে।
আবু নাছের জানান, অভিযানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা ও চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন বোধে সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। এরপর সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লার্ভিসাইডিং এবং এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
“এসব অভিযানে করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতীত স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করছেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণসহ নানাবিধ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন।”
Source link