নীহারিকার সংসার ২ বছরও টিকলো না
নীহারিকার সংসার ২ বছরও টিকলো না

বিয়ের আগে কিংবা বিয়ের সময় সিনেমার অভিনেত্রী অভিনেতারা বেশ ডাকডোল পিটিয়ে সবাইকে জানান দেন তারা। আবার বিয়ে ভেঙে গেলেও সেটা সবাইকে জানান দেন। সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপারটা হয়তো লজ্জার কিংবা অপরাধ কিন্তু মিডিয়ার মানুষের কাছে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। ডাকাডোল পিটিয়ে বিয়ে করলেও সে সব বিয়ে ভেঙে যেতে বেশি সময় লাগে না। কারো কারো ৬ মাস কিংবা ৯ মাসের মধ্যে ভেঙে যায়। ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী নীহারিকা কোনিড়েলার বিয়েটা তিনবছর টিকলো না তার আগে শেষ।

জানা যায়, ২০২০ সালে প্রেমিক চৈতন্যর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী নীহারিকা কোনিড়েলা। কিছু দিন ধরে জোর গুঞ্জন উড়ছে, ভেঙে যাচ্ছে এ দম্পতির সংসার। অবশেষে নীহারিক নিশ্চিত করলেন বিয়েবিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তারা।

নীহারিক বিয়েবিচ্ছেদের জন্য হায়দরাবাদের কোকাটপালি পারিবারিক আদালতে আবেদন করেছেন। এ আবেদনের স্ক্রিনশট নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন নীহারিকা। যদিও পরে তা মুছে ফেলেন। সর্বশেষ বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে একটি বিবৃতি পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী।

লিখিত এ বিবৃতিতে নীহারিকা বলেন, ‘সমঝোতার মাধ্যমে আমি আর চৈতন্য আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি আমার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

নীহারিকা-চৈতন্যর সংসার ভাঙার গুঞ্জনের সূত্রপাত ইনস্টাগ্রামকে কেন্দ্র করে। মূলত, ইনস্টাগ্রামে তারা পরস্পরকে আনফলো করেন। এখানেই শেষ নয়, চৈতন্য তার অ্যাকাউন্ট থেকে বিয়ের সমস্ত ছবি মুছে ফেলেন। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকে এ দম্পতির বিয়েবিচ্ছেদের গুঞ্জন বাতাসে ভেসে বেড়াতে থাকে।

নীহারিকার বাবা দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নাগা বাবু, নীহারিকার কাকা অভিনেতা চিরঞ্জীবী, পবন কল্যাণ, চাচাতো ভাই অভিনেতা রাম চরণ, ফুফাতো ভাই আল্লু অর্জুন। বিয়ের সময়েও তারা সবাই উপস্থিত ছিলেন।

টেলিভিশন শো উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন নীহারিকা। ২০১৬ সালে তেলেগু ভাষার ‘ওকা মানাসু’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রাখেন তিনি। পরের বছরই তামিল সিনেমায় অভিষেক হয় তার। নীহারিকা অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘সাইরা নরসিমহা রেড্ডি’। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর মুক্তি পায় এটি।

যাযাদি/ এস


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *