ত্রিপুরা: মাদক মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যা রাজ্যের যুব সমাজকে রক্ষা করতে সহায়কের ভূমিকা নিতে পারে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আগরতলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর একটি শাখা স্থাপন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি গাড়ি বা যানবাহনে মাদক শনাক্ত করতে একটি ফুল-বডি স্ক্যানার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ গ্রাম বাংলার রায় কার দিকে? জবাব মিলবে আজ, দেখুন পঞ্চায়েত ভোটের লাইভ রেজাল্ট
এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে দুই বিধায়কের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা উত্তরে বেশকিছু তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত তিন বছরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১০১.৬৬ কোটি টাকার অধিক মূল্যের নিষিদ্ধ মাদক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ এছাড়া মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজারের অধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘রাজ্য সরকার এই সকল নিষিদ্ধ মাদক কারবারের উৎস চিহ্নিত করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।’
নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলাগুলিতে নেটওয়ার্ক, অর্থদাতা এবং আন্তঃরাজ্য যোগাযোগের মাধ্যমগুলি খুঁজে বের করার জন্য ত্রিপুরা ক্রাইম ব্রাঞ্চের অধীনে একটি বিশেষ তদন্তকারি দলের (এসআইটি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজধানী আগরতলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) একটি শাখা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গাঁজার গাছ ধ্বংস করার জন্য প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাদক পরিবহনকারী যানবাহনগুলিতে দ্রুতগতিতে মাদক শনাক্ত করার জন্য একটি ফুল-বডি স্ক্যানার কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পুত্র ও কন্যাদের জন্য সমান উত্তরাধিকার চান ৮২ শতাংশ মুসলিম মহিলা
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এনডিপিএস তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নরসিংগড়ের কেটিডিএস পুলিশ ট্রেনিং এ্য়াকাডেমি নিয়মিত এসকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিশেষ করে স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রী ও জেলা পুলিশ কর্মীদের মধ্যে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এনডিপিএস আইনে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে সহজে জামিন পেতে না পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্য পাবলিক প্রসিকিউটর এবং অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে। এছাড়া এনডিপিএস মামলায় জামিনে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি নিয়মিত নজরদারি রাখা হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alchohol, Manik Saha, Tripura
Source link