রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, “পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছে ৬৯ হাজার ‘রোহিঙ্গা’”। এই খবরে সৌদি আরবের চাপে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি) রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিতে যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সেই বিষয়টি উঠে এসেছে।
তবে চূড়ান্তভাবে প্রবাসী রোহিঙ্গাদের হাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তুলে দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে আরও যাচাই-বাছাইয়ের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নানা উপায়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে সৌদিতে গেছেন বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। যাদের বেশিরভাগই পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে সেদেশে অবস্থান করছেন।
এসব অবৈধ রোহিঙ্গার পাসপোর্ট দিতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে চাপ দিয়ে আসছে সৌদি আরব। তবে বাংলাদেশ এতদিন বিষয়টি আমলে নেয়নি। কিন্তু সৌদির শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কাসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে শেষ পর্যন্ত ঢাকার অবস্থান এখন ‘নমনীয়’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুধু রাতে নয়, এখন দিনেও চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। খুনোখুনি, অপহরণ, গুম, লুটপাট সেখানে এখন স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে। পর্যটননগরী কক্সবাজারের টেকনাফ যেন এখন মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি) ও আরএসওর (আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও তাদের থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা খুন হয়েছেন। সর্বশেষ শুক্রবার আরএসও গোষ্ঠীর হাতে খুন হন আরসার পাঁচ সদস্য।
এমন পরিস্থিতিতে এই দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের তালিকা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলাদেশের সরকারি সার্ভার থেকে তথ্য ফাঁসের খবর নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম “সরকারি সংস্থাটিকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল”। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সরকারের সাইবার নিরাপত্তা দল সার্ট আগে থেকেই সতর্ক করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট দফতর, যাদের মাধ্যমে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সতর্ক করার পর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাকের এক সাইবার গবেষক ব্যক্তিগত তথ্যগুলো অরক্ষিত থাকার বিষয়টি দেখতে পান। এরপর থেকে এই তথ্য ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। এমনটিই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সোমবার ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের বৈঠক করে। সেখানে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত কি কি করণীয়, সরকারের সক্ষমতা কতটুকু, সমস্যা কোথায় এমন নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। বৈঠকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এ সংক্রান্ত দুটি কমিটির করার কথাও জানান।
যাদের কাজ হবে তথ্য প্রযুক্তিগত কি কি দুর্বলতা আছে তা জানা এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ের দায়িত্ব অবহেলা থাকলে চিহ্নিত করা এবং এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়া।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরের সময়ে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে সক্রিয় থাকছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। নিজেদের অবস্থানের পক্ষে গণশক্তি দেখানোই এর উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
একইদিন বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দিতে পারে। আর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
অর্থাৎ এক কিলোমিটারের মধ্যে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বড় জমায়েতের ফলে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরাই ওই দিন রাজপথে মুখোমুখি অবস্থানে থাকবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন দুই কর্মকর্তার ঢাকায় সফরকে ঘিরে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, “যুক্তরাষ্ট্রের ছকে ব্যবসায়ীরাও”। এই প্রতিবেদনে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্রবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এর সফর এবং বাংলাদেশকে সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়ার বিষয় উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এ সফরে তারা আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরে শর্তযুক্ত বিনিয়োগ করার প্রস্তাব করতে পারেন। সেইসাথে এখন তারা ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে চায়। যা তিনা আগে চেয়েও পাওয়া যায়নি।
কিন্তু এবার এই সহায়তা পেতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে পরিবেশ, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করার শর্ত জুড়ে দিয়েছে দেশটি।
ইইউ প্রতিনিধিদলের সিরিজ বৈঠক নিয়ে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, “নির্বাচন, মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা”। প্রতিবেদনে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার তথা গণতন্ত্রকে সুসংহত করার উপায়, বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ এবং নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে তাদের আলোচনার প্রসঙ্গ উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ ও নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইইউ’র নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধানী দলটি শনিবার ১৬ দিনের সফরে ঢাকায় আসে। প্রতিনিধিদলটির মূল কাজ হবে- নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় মূল্যায়ন করা। পর্যবেক্ষক দলটি রোববার তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
আরপিও সংশোধন নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, “RPO changes wont curtain EC power” অর্থাৎ “আরপিও সংশোধনে ইসির ক্ষমতা রহিত হয়নি”। প্রতিবেদনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের ফলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, আরপিও সংশোধনের ফলে ইসি’র ক্ষমতা ‘আরও বেড়েছে ও সুসংহত হয়েছে’ । ভোট বন্ধে ইসির কোন ক্ষমতা ‘রহিত হয়নি’, বরং আরপিও সংশোধন নিয়ে জনগণকে ‘বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, ইসিকে হেয় করা হচ্ছে’।
তবে সংশোধিত আইনে ভোটের দিনের আগে ইসি চাইলে নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করতে পারবে কি-না, তা পরিষ্কার করেননি তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি একবার বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর দেব না।’ পরে আবার বলেন, সে ধরনের পরিস্থিতি হলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। আইনের বাইরে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার কমিশনের আছে, এটা ‘ইনহেরেন্ট পাওয়ার (অন্তর্নিহিত ক্ষমতা)’।
বিআরটিএ-এর অন্দরমহলের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সমকাল তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে, “চাকরিই জাদুর কাঠি”। প্রতিবেদনে বিআরটিএ’র শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে অফিস সহকারী পর্যন্ত সবার দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর সম্পদের বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, বিআরটিএ’র ঘুষ বাণিজ্যের বিস্তার কোন মাত্রায় পৌঁছেছে তা এই সম্পদের ফিরিস্তি দেখলে বোঝা যায়। কার্যালয় তো বটেই মাঠ পর্যায়ে ও সেবা গ্রহীতাদের কাছে হয়রানি ভোগান্তির আতঙ্কের নাম বিআরটিএ।
বলা হচ্ছে, সরকারি খরচের বাইরে বাড়তি টাকায় সব কাজ মেলে সহজে তা না হলে জুতার তলা ক্ষয় করে হয় না কাজের সমাধান। বিআরটি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছা হওয়া চাকরীদের বিপুল বিত্তের এমন নানা খবর অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছে সমকাল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যস্ফীতির হিট ম্যাপ নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম “আটা ডিম মাংস ও স্বাস্থ্যসেবায় মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি”। এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে মানুষের জীবনধারণ কিংবা পুষ্টি গ্রহণের জন্য খাদ্যপণ্য এবং চিকিৎসার মতো যে মৌলিক সেবা তার অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হিট ম্যাপটি তৈরি করেছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চিফ ইকোনমিস্ট ইউনিট।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে চলতি বছরের মার্চে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। যদিও ওই সময়ে আটা, ডিম ও মাংসের মতো নিত্যপণ্যের দাম ছিল গড় মূল্যস্ফীতির প্রায় তিন গুণ। আর গড়ের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল ওষুধসহ স্বাস্থ্যসেবায়।
অন্যান্য খবর
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, “ব্যাংক নয় হাতে টাকা রাখতেই স্বচ্ছন্দ!”। প্রতিবেদনে, বেসরকারি খাতের তিনটি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে (এফডিআর) করে তার লাভ্যাংশ দিয়ে সংসার পরিচালনার একটি উদাহরণ টেনে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতির কারণে এখন শুধুমাত্র লাভ্যাংশ দিয়ে মানুষ খরচ চালাতে পারছে না। অনেকেই এফডিআর ভেঙে ফেলছেন।
এভাবে সংসার খরচের ব্যয় সামাল দিতে ব্যাংকের আমানতকারীরা জমানো টাকা তুলে নেয়ায় ব্যাংকের টাকা চলে যাচ্ছে মানুষের হাতে। আর ব্যাংকে দেখা দিচ্ছে তারল্যের সংকট। এক বছরের ব্যবধানে আমানতের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া ধারাবাহিক ঋণ কেলেঙ্কারি, ব্যাংক নিয়ে গুজবসহ নানা কারণে গেল বছরের শেষদিকে অনেকেই ব্যাংক খাত থেকে আমানত তুলে নিয়েছিলেন। এর বাইরে ব্যাংকে আমানতের সুদহার কমে যাওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকের পরিবর্তে হাতে রাখার প্রবণতা বেড়েছিল।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, “রক্ত ও প্লাটিলেটের চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ”। এই প্রতিবেদনে ঢাকার বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক ও হাসপাতাল ঘুরে গত এক সপ্তাহে রক্ত ও প্লাটিলেটের চাহিদা দ্বিগুণ হয়েছে, সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য রক্তের বিপুল চাহিদা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দাতা ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্লাড সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) নুর আলম সবুজ কালের কণ্ঠকে বলেন, গত এক সপ্তাহে রোগীর ডোনার থেকে ব্লাড সংগ্রহ করা হয়েছে ২০০ ইউনিট। প্লাটিলেট কনসেনট্রেট ও এফারেসিস প্লাটিলেট মিলিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে ১২০ ইউনিট, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি এবং তা মোট চাহিদার ২০ শতাংশ।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তা ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাটিলেটের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের কাউন্সিলর ও সমন্বয়ক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৮৫ থেকে ৯০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্লাটিলেট সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ ইউনিট, যা গত কয়েক মাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
এ ছাড়া বাঁধন, কোয়ান্টাম, পুলিশ ব্লাড ব্যাংক, সন্ধানী ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, প্লাটিলেট ও রক্তের জন্য প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজারের বেশি কল আসছে। কিন্তু রক্তদাতা না থাকায় চাহিদা ২৫ শতাংশের বেশি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, “খাদিজার জামিন আরও চার মাস স্থগিত থাকছে”। এখানে মূলত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন প্রসঙ্গ তুলে আনা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, খাদিজার জামিন প্রশ্নে আবেদন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বলছেন, আপিল বিভাগের আজকের আদেশের ফলে এই সময় পর্যন্ত (চার মাস) খাদিজাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতই থাকছে।
অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক।
Source link