শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করা হোক
শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করা হোক

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরেই কমবেশি সমস্যা আছে। তবে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকসংকটের বিষয়টি প্রকট। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকসংকটের যে চিত্র উঠে এসেছে, তাতে দেখা যায়, অনেক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের অর্ধেকের কম শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে। 

২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, মাধ্যমিকে গড়ে প্রতি ৩০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে গড়ে ৩৮ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক আছেন। সরকারি মাধ্যমিকে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি ৫২ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ২০ হাজার ৯৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে) মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো হয়। এর মধ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬৮৪টি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাধ্যমিকে মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ২২ জন। মোট শিক্ষক আছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৮ জন। মাউশির সূত্রমতে, বর্তমানে সহকারী শিক্ষকদের ১ হাজার ৮১৭টি পদ শূন্য। শূন্য আছে শিক্ষা কর্মকর্তাদের উল্লেখযোগ্য পদও। মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মাধ্যমিক স্তরের হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার নীতিনির্ধারণে মাধ্যমিক শিক্ষকদের ভূমিকা গৌণ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তই কার্যকর হয়।


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *