এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতার করলেন আমিনুল ইসলাম
এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতার করলেন আমিনুল ইসলাম

কারো মা নেই। কারো বাবা নেই। কারো দুজনই নেই। কেউ ছিল ফুটপাতে। কেউ ছিল ঠিকানাহীন ভবঘুরে। তবে বর্তমানে তাদের ঠাঁই হয়েছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফরহাদাবাদের শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পুনর্বাসন কেন্দ্র ও সরকারি শিশু নিবাসে।

এমন সাড়ে তিন শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার ও রাতের খাবার খেয়েছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। সেই আয়োজনে সঙ্গী ছিল পাশে অবস্থিত সরকারি সেফ হোমের ৬৫ কিশোরীও।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের উদ্যোগে ইফতার ও নৈশভোজের এই আয়োজনটি হয়েছিল সোমবার (১০ এপ্রিল) হাটহাজারীর ফরহাদাবাদে। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আয়োজক আমিনুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি ছাড়াও এসব এতিম ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ইফতার ও ডিনারে শামিল হয়েছিলেন বিভাগীয় সমাজ সেবা কার্যালয় চট্টগ্রামের পরিচালক নাজিমুল ইসলাম, বিভাগীয় উপ পরিচালক মনিরুল ইসলাম, জেলা উপ পরিচালক ফরিদুল আলম, সহকারী পরিচালক ওয়াহিদুল আলম, সেফ হোমের তত্ত্বাবধায়ক আলমগীর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলম, ফটিকছড়ির রোসাংগিরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোয়েব আল সালেহীন, সাবেক ছাত্র নেতা সাজ্জাত হোসেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতিয়ার সাঈদ ইরান প্রমুখ।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জীবনে অনেক বড় বড় মানুষের সঙ্গে আর বড় জাগায় ইফতার করেছি। কিন্তু আজ ছোট্ট সোনামণিদের সাথে ইফতার করতে পারার অনুভূতিটা অন্যরকম। আমার মনে হচ্ছে এরকম সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে কিছু সময় কাটাতে পারাটা ভাগ্যের বিষয়। আমার সামনে এতোগুলো কচিকাঁচা মুখ দেখে আমি সত্যিই আপ্লুত হয়ে পড়েছি। তাদের মুখের মায়ায় আমার মন ভরে গেছে। এদের মাঝে আসতে না পারলে হয়তো জীবনে কিছু একটা অপূর্ণ থেকে যেতো। আজ এই ইফতার আয়োজনের মাধ্যমে সেটা পূর্ণ হলো মনে হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিতে এতিম শিশুদের দায়িত্ব নেয়ার পাশাপাশি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নানা সেবা-ভাতা প্রদান করছেন। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাগুলো দৃশ্যমান হলেও এই ধরণের কার্যক্রমগুলো আলোচনার বাইরে থাকছে। শেখ হাসিনার সরকার গরীব অসহায় দুস্থ মানুষের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে। যাদের দায়িত্ব নেওয়ার কেউ নেই শেখ হাসিনার সরকার তার দায়িত্ব যে নিচ্ছে সেটার প্রমাণ এই শিশু নিবাস ও পুর্নবাসন কেন্দ্র।’

চার শতাধিক শিশু ও কিশোরি নিয়ে ইফতার ও ডিনার করার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমি এসব শিশু ও কিশোরীদের ইফতার করাচ্ছি সেটা তাদের জন্য বিশেষ কিছু নয় ; বরং এই সুযোগ পাওয়াটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করতে পারাটা তাদের প্রতি করুনা নয়। তাদের পাশে থাকতে পারাটা আল্লাহর নৈকট্য লাভের বড় সুযোগ। এরকম একটা আয়োজনের সুযোগ করে দেওয়ায় সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

এর আগে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সেখানে পৌঁছলে শিশু নিবাসের দুই শিশু ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখান থেকে সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসন কেন্দ্র, সরকারি শিশু নিবাস ও সেফ হোম পরিদর্শন করান। এ সময় সেখানে থাকা শিশু কিশোরীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যা শুনেন। অবকাঠামোসহ যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীকে জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার কথাও জানান আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/কেএম)


Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *