ট্র্যাকে গতির ঝড় তুলেছেন কেউ। সাঁতারে কুড়িয়ে এনেছেন স্বর্ণ। কাউকে দেখা গেছে ফুটবল মাঠে। কেউবা তুলতেন ভার। খেলার মাঠে চার চোখের মিলনে চার হাত এক হয়েছে তাদের। এমন কিছু জুটির গল্প প্রতিবেদনের তৃতীয় ও শেষ পর্ব আজ।
মাহবুবুর রহমান (ফুটবলার) ও জিন্নাত আছিয়া (ক্রিকেটার)
জাতীয় ফুটবল দলের পরিচিত মুখ মাহবুবুর রহমান সুফিল। অন্যদিকে মোহামেডান নারী দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেন জিন্নাত আছিয়া অর্থি। ভালোবেসে ২০২০ সালে সুনামগঞ্জের ছেলে সুফিল ও বগুড়ার মেয়ে অর্থির চার হাত এক হয়।
মুজিবর রহমান মল্লিক ও তাসলিমা রহমান (অ্যাথলেট)
স্বাধীনতার পর দেশের অ্যাথলেটিক্সে বড় তারকা ছিলেন মুজিবর রহমান মল্লিক। জাম্প, স্প্রিন্ট-সব ইভেন্টেই দাপট ছিল তার। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি সাফে দুটি করে স্বর্ণ, রুপাসহ অনেক পদক জিতেছেন। ১৯৮১ সালে বিয়ে করেন আরেক অ্যাথলেট তাসলিমা রহমানকে। যিনি ১০০ ও ২০০ মিটারে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন। এছাড়া অ্যাথলেটিক্সে জ্যোৎøা ও মানিক, স্প্রিন্টার সাজু ও ফুটবলার মিজান, কানিজ ও মতিউল আলম, শাম্মী ও দেলোয়ার, যুথী ও তালেব আলী, কামরুল ও কল্পনা এবং হামিদা ও রুহুল আমিন জীবনের ইনিংসে জুটি বেঁধেছেন।
কামাল হোসেন ও লাবনী আক্তার জুঁই (সাঁতারু)
সাঁতারে ক্যারিয়ার খুব একটা সমৃদ্ধ নয় কামাল হোসেনের। ১৯৯৭তে শুরু করে ২০০৪ সালে খেলা ছাড়েন। তবে লাবনী আক্তার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বেশকটি স্বর্ণপদক জিতেছেন। এ দুই সাঁতারু জুটি বাঁধেন ২০০৫ সালে। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার আনসারে চাকরি করা সাবেক এ দুই সাঁতারুর।
আবদুল্লা হেল বাকি ও সাফারিয়া আক্তার (শুটার)
দেশের শুটিং অঙ্গনে পরিচিত মুখ আবদুল্লা হেল বাকি। কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া রুপা জিতেছেন। ২০২১ সালে বিয়ে করেছেন আরেক শুটার সাফারিয়া আক্তারকে। একযুগ আগে বিকেএসপিতে দেখা। এরপর প্রেম ও পরিণয়। এছাড়া শুটার সাবরীনা সাগর ও নাসির উদ্দিন জনি এবং শারমীন আক্তার ও ফুটবলার জিতু ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন।
সবুরা খাতুন ও শরীফুল ইসলাম (সাঁতারু)
সাঁতারের পুলে ঝড় তুলেছেন শরীফুল ইসলাম ও সবুরা খাতুন দুজনই। ১৯৯৩-২০০৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলে অনেক পদক জিতেছেন শরীফুল। অন্যদিকে সবুরা খাতুন সাফ গেমসে কাঠমান্ডুতে ১৯৯৯ সালে ব্যক্তিগত দুটি ও রিলেতে তিনটি পদক জিতেছিলেন। ২০০৩ সালে বিয়ে করেন এ দুই সাঁতারু। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার তাদের। এছাড়া সাঁতারের ফয়সাল আহমেদ ও রোমানা আক্তার এবং কাউসার হোসেন ও নাঈমা আক্তার জুটি বেঁধেছেন।
মিঠুন কুমার বিশ্বাস (বাস্কেটবল)
ও পাপীয়া রানী (অ্যাথলেট)
বিকেএসপির শিক্ষার্থী ছিলেন মিঠু কুমার বিশ্বাস ও পাপীয়া রানী। সেখানেই পরিচয় তাদের। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। যার পরিণয় ঘটে ২০১৭ সালে। এক ছেলে নিয়ে এখন সুখের সংসার এ দুই ক্রীড়াবিদের।
ফজলে হোসেন ও রিতু খানম (হকি)
জাতীয় হকি দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ফজলে হোসেন রাব্বি। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে খেলছেন তিনি। গত বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই ক্রীড়াবিদ। কনে জাতীয় নারী হকি দলের অধিনায়ক নড়াইলের মেয়ে রিতু খানম।
এছাড়া জিমন্যাস্টিক্সে আনিসুর রহমান দিপু ও পারভীন লায়লা লুসি, আকরাম আলী ও নাসরিন আক্তার মিলু, আবদুর রউফ চৌধুরী ও মর্জিনা এবং তায়কোয়ান্দোতে ফারজানা আক্তার রুমি ও সোহেল ঘর বেঁধেছেন ভালোবেসে।
Source link